জলাবদ্ধতা সমস্যা উপদেষ্টা পরিষদে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে

চট্টগ্রামের মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফারুক ই আজম । যত্রতত্র ময়লা ফেললে জেলে পাঠান । অতীতে অনেক অনিয়ম হয়েছে, বড় অনিয়মটা হয় ২০১৬ সালে : মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। বাজেটে ৫৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি থাকলেও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে ফান্ড এলোকেশন (বরাদ্দ) চেয়েছেন, সেভাবে না হলেও ফান্ডের একটা ফ্লো থাকবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধে আগামী রমজানের আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার ওপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে যারা যততত্র ময়লা ফেলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুয়েকদিনের জন্য জেলে পাঠানো এবং তাদের ছবি রেখে ‘ডকুমেন্টেশন’ করার পক্ষে মতামত দেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মতামত তুলে ধরেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যাশিত বরাদ্দ না পাওয়ায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নালানর্দমা পরিষ্কারে একশ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চাইলেও মাত্র পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সে টাকাও এখনো ছাড় হয়নি। সরকার গুরুত্বটা বুঝছে না, এটা দুঃখ করে আজকে বলতে হচ্ছে। কেন বুঝতে পারছে না, তারা হয়তো মনে করছে, টাকা খেয়ে ফেলবে, নাকি?

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ময়লা ফেললে জেলে : উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বহুমুখী কাজ করতে পারে। শহরে যেসব পরিবার সবকিছু মেনে ট্যাঙের টাকা দিচ্ছে, সেখানে বর্জ্য অপসারণের টাকাও আছে, পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতার টাকাও আছে। সবকিছুই এটার মধ্যে আছে। সুতরাং হান্ড্রেড পার্সেন্ট যারা কমপ্লায়েন্স ফলো করবে, তাদের আমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারি, পুরস্কৃত করতে পারি। আর এগুলো যারা মান্য করবে না, তাদের তিরস্কার এবং আইনের আওতায় আমরা নিয়ে আসতে পারি।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে জনমানুষের মধ্যে আমরা একটা ধারণা তৈরি করতে চাই যে, ময়লা যত্রতত্র ফেলা যাবে না। এটার জন্য মোবাইল কোর্ট করে ফাইন হয়। আমরা টাকার ফাইনে না গিয়ে দুয়েকদিনের জন্য জেলও দিতে পারি, এটা মোবাইল কোর্ট করে। ডকুমেন্টেশনও করা যেতে পারে, কারা ময়লা ফেলছে, মোবাইল ফোনে যদি তাদের ছবি রেকর্ড করে রাখা যায়, আগে নোটিশ করে তারপর। প্রথমে বলছি যে, অ্যাওয়ারনেস ক্রিয়েট করা, তারপর পানিশমেন্ট। ধীরে ধীরে এগুলো যদি প্রয়োগের পর্যায়ে যাওয়া যায়, তাহলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসব ক্ষেত্রে হতে পারে। আগামী রোজার আগে আমি আশা করছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে আমরা যদি বড় ধরনের একটা সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম দিতে পারি, তাহলে এটা অনেক বড় একটা কাজ দেবে।

ফারুক ই আজম বলেন, আমরা চারজন উপদেষ্টা এটার (জলাবদ্ধতা নিরসন) দায়িত্বে আছি। প্রতি সপ্তাহে আমরা একজন উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আসব শুধু আপনাদের সাথে থাকার জন্য। এটা এই নয় যে, আপনাদের কাজের ফিরিস্তি নেওয়ার জন্য আমরা আসব। আমরা আসব সতত যেন আমরা এ কাজের মধ্যে মনোনিবেশ করতে পারি এবং সীমাবদ্ধতাগুলো সময়ের মধ্যেই যাতে চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারি। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি, আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে একটা দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শন করতে পারব।

তিনি বলেন, আমরা শুরু করেছি, আমাদের এই ধারাবাহিকতাটা যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়। এই যে আমাদের মধ্যে ঐক্য হয়েছে, কর্মে নিয়োজিত করার জন্য আমরা যেভাবে সচেষ্ট হয়েছি, এটা যেন কোনোভাবেই ব্রেক না হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে, এটা নিয়েই আমি ঢাকায় যাচ্ছি। ঢাকায় আমরা আলোচনা করব। আমাদের কথা হচ্ছে, কাজের অগ্রগতি আমরা দৃশ্যমানভাবে দেখতে চাই।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, খালগুলোকে আবর্জনামুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। খালগুলো নিয়ে যারা কাজ করছেন, সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য কাজ করছে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, সিটি কর্পোরেশন যে বারইপাড়া খাল খনন করছে, এর সঙ্গে সংযুক্তির জায়গাটা আমরা দেখে এসেছি। উনারা (সেনাবাহিনী) এটা করে দেবেন বলেছেন, এটাতে জলাবদ্ধতা অনেকটুকু লাঘব হবে বলে আমি মনে করি। এটাও একটা অগ্রগতি। শহরের আরেকটা অগ্রগতি আমার চোখে পড়েছে। আগে রাস্তাঘাট যেভাবে ময়লা অধ্যুষিত ছিল, এখন অনেকটাই পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন। এটা ইমপ্রুভমেন্টের লক্ষণ। হয়তো আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রামে এলে আমরা দেখতে পাব যে, এটা আরও বেশি পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন শহর হয়েছে।

কেন্দ্র থেকে টাকা দিতে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন মেয়রের : সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা খাতে সিটি কর্পোরেশন তো কোনো বাজেট পায়নিএটা সত্য। বাজেট আমাদের দরকার। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আগামী তিনচার মাসের মধ্যে এই যে ড্রেননালাগুলো পরিষ্কার করার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। কথা হচ্ছে, বাজেট নেই, কিন্তু এখন আমি কিভাবে কাজ করছি? হোল্ডিং ট্যাঙসহ আরও নানাভাবে যে টাকাটা আমি পাই, মাসে ৩২ কোটি টাকা আমাকে কর্মচারীদের দিতে হয়। ওখান থেকে কিছু কিছু দিয়ে আমি কাজ করছি। আমি বুঝতে পারি না, কেন্দ্র থেকে টাকা দিতে সমস্যা কোথায়?

মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি তিন মাস হয়েছে। দায়িত্ব নিয়ে দেখি, সাড়ে ৪শ কোটি টাকা দেনা রেখে গিয়েছে। তাই নগরের ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নালানর্দমা পরিষ্কারের জন্য ১শ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চাই। টাকা তো অনেক খরচ হয়ে গেছে। এখন নালানর্দমা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, মাত্র ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাও এখনো পাওয়া যায়নি। সরকার কেন বুঝতে পারছে না? তারা হয়তো মনে করছে, টাকা খেয়ে ফেলবে নাকি। আমি বুঝতে পারছি না। এটা আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি। উনি (উপদেষ্টা) আছেন, এজন্য বলছি। আমি ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারি।

শাহাদাত বলেন, অতীতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। বড় অনিয়মটা তো ২০১৬ সালে হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কাজটা সিটি কর্পোরেশনের, অথচ এটা সিডিএর কাছে চলে গেছে। একপর্যায়ে কিন্তু এটা সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দিতেই হবে। তখন লোকবল, যন্ত্রপাতি এগুলো কিন্তু সিটি কর্পোরেশনকে ম্যানেজ করতে হবে। মেইনটেন্যান্সের জন্য লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, এটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেখতে হবে, কোন কোন খাতে কত লোকবল লাগছে, যন্ত্রপাতি কোথায় কী লাগছে। এই যে স্লুইচগেটগুলো, এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কাজও আলটিমেটলি সিটি কর্পোরেশনকে করতে হবে। এটার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে একটা বড় বাজেট তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, নগরে এমনও জায়গা আছে, যেখানে খাল ও নালানর্দমা পরিষ্কারের জন্য গাড়ি বা বড় মেশিন ঢুকতে পারে না। এ ধরনের নালনর্দমা ও খাল পরিষ্কারের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে ২৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগে সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় যদি গুরুত্ব নিয়ে না দেখে তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কীভাবে সমাধান করব? ওখানে উপদেষ্টা ও সচিব পরিবর্তন হচ্ছে, একজনের পর আরেকজন আসছেন, এই হচ্ছে অবস্থা। সবাই যদি গুরুত্ব দিয়ে দেখে, তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

মেয়র বলেন, পার্মানেন্ট সলিউশন হচ্ছে, ময়লাটাকে সম্পদে পরিণত করা। আমি এটা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকেও বলেছি যে, চট্টগ্রামে ওয়েস্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্প গ্রহণ করা হলে নগরবাসীর সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ ও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

অন্যান্য : চেয়ারম্যান নুরুল কবির বলেন, ২০২৬এর জুনে ৩৬টা খালের কাজ শেষ হবে বলে আমরা চিন্তা করছি। এরপর একসাথে যদি এই ৩৬টা খাল একেবারে সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দিই তাহলে সিটি কর্পোরেশনের জন্য এটা ম্যানেজ করা ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে। আমার মনে হয়, আমরা পর্যায়ক্রমে খালগুলো বুঝিয়ে দিলে এবং সরকার যদি সিটি কর্পোরেশনের ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করে তাহলে কাজটা সহজ হবে।

লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমাদের প্রকল্পের ভৌত কাজের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশ। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু প্রাইমারি খালের নেটওয়ার্ক তৈরি করলে হবে না; এটার সাথে টারশিয়ারি সেকেন্ডারি যে খালগুলোর কানেকশন রয়েছে সেগুলোর জন্য সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে আমাদের কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে প্রধান ৩৬ খালের প্রবাহটা ঠিক রাখা। এখানে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা লাগবে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন অনেক বেশি দ্রুততার সাথে কাজ করছি।

মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর সাথে সমন্বয় করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন খালে ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইনের ৪৪টি প্রতিবন্ধকতার তালিকা তৈরি করেছিলাম। সেগুলোর জন্য আমরা তিন কোটি ১৭ লাখ টাকার এস্টিমেট প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটা লাইন সিডিএর সাথে সমন্বয় করে ডিলোকেট (অপসারণ) করা হয়েছে। ১৩টি যেগুলো ছোট পরিসরের লাইন, যেগুলোতে খরচ সীমিত করে করা যাবে। সেসব অপসারণের জন্য তিনটা টেন্ডার আহ্বান করেছি। এগুলোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আমরা নিজেরাই কাজ করব। অবশিষ্ট যে কয়েকটা থাকে সেসব যদি প্রকল্পের আওতায় আসে যেভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সর্বনিম্ন ৪৫ দিন আর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে এই সকল প্রতিবন্ধকতা আমরা অতিক্রম করতে পারব।

অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, বহদ্দারহাটে সরাসরি ড্রেনের উপর সিটি কর্পোরেশনের একটা ভবন রয়েছে। একই লাইনে অন্যান্য দোকান আছে। ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে এগুলো রিমুভ করতে হবে।

সভার আগে খাল পরিদর্শন : সভার আগে বিভিন্ন খাল ও জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ও মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন। উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা আগ্রাবাদের নাছির খালের খনন কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, আমরা সবাই অনেক রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি, যাতে জলাবদ্ধতা থেকে আপনারা নিষ্কৃতি পান। সেটা পেতে হলে আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে। আপনাদের অংশগ্রহণ লাগবে। কারণ অনেক ময়লা ড্রেনে আসছে, যেগুলো আসার কথা না। বালিশ, কাথা, কম্বল, নানা জিনিস ড্রেনে ফেলছে মানুষ। এগুলি তো এখানে ফেলার কথা না। এগুলা সিটি কর্পোরেশনের ময়লার জায়গায় ফেলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ল