নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে খাল ও নালার পানি স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি গতকাল সোমবার বীর্জা খাল, মিয়াখাঁন নগর, দামপাড়া, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ, বাকলিয়াসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে চসিকসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু, খাল নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের ইকুইপমেন্টস সংকট। খাল–নালা পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রাখতে ইকুইপমেন্টস খুব দরকার। কারণ ১৬০০ কিলোমিটার এবং এই ৫৭টি খলকে ক্লিন রাখার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনাটাকে স্মুথ রাখার জন্য এটার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বীর্জাখাল পরিষ্কার কার্যক্রমের জন্য সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল টিম আজ মঙ্গলবার থেকে আবারও ক্লিনিং কার্যক্রম শুরু করবে। জলাবদ্ধতার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু এলাকার নিম্নভূমি হওয়া এবং অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এজন্য বিশেষ করে খাজা রোড, দামপাড়া, জিইসি মোড় ও আশপাশের এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে। সিডিএ’র চলমান র্যাম্প কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু করতে পারছি না। তবে সেখানে ইতোমধ্যে পাম্প স্থাপন করা হয়েছে যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা যায়। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।