জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ি করেছেন নগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রাম এখন বসবাসের অযোগ্য নগরী হয়ে উঠেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই বন্দরনগরী ডুবে গেল। শহরের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানি। বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। এতে মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। এজন্য সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ’র সমন্বয়হীনতা দায়ী। গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ক্রমান্বয়ে শহর ভারসাম্যহীন হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি ও সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে এসব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আরো দুর্ভোগ তৈরি করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে চলমান খালগুলোতে বাঁধ দেয়ায় আজকে চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এখনও কোনো স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। কমবেশি ৬০ লাখ নগরবাসীর মলমূত্র গিয়ে মিশছে কর্ণফুলী নদীতে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে মাস্টারপ্ল্যান উপেক্ষা করে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাইওভার। শহরের প্রধান সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণ ছিল মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত। শহরের কেন্দ্রস্থলে ফ্লাইওভার নির্মাণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। দখল হয়ে গেছে অনেক খাল, ছড়া ও নালা-নর্দমা। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় নগরী। রাস্তাঘাট অপ্রতুল, সংকট রয়েছে গণপরিবহনেরও। সিটি করপোরেশন রাস্তা সংস্কারের পরই তা কেটে ফেলছে ওয়াসা কিংবা পিডিবি। মূলত সমন্বয়হীনতার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নগরের ৫৬টি খাল দখল করে গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু এসব বিষয়ে সরকার ও চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলো নির্বিকার।
তিনি বলেন, সমন্বিত রূপরেখা ছাড়া কোনো নগর পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠে না। জনগণের অর্থ খরচ করে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। যদি মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা না যায় তাহলে চট্টগ্রাম অচিরেই মুমূর্ষু নগরীতে পরিণত হবে। নগরীর মান আরো খারাপ হয়ে যাবে।