জলমগ্ন এলাকায় সিটি মেয়রের খাদ্য বিতরণ

| মঙ্গলবার , ২১ জুন, ২০২২ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

চকবাজার ওয়ার্ডের চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা ও পূর্বষোলশহর ওয়ার্ডের বহদ্দার হাট পর্যন্ত ভারী বর্ষণে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করলেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। খাদ্য বিতরণকালে মেয়র বলেন, আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় লাখো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দু:সহ জীবন যাপন করছেন।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় চসিকের পক্ষ থেকে বাটালি হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হলেও দীর্ঘসময় ধরে দুর্যোগ মোকাবেলার সাহস ও সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৌসুম ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবির্ভাব হচ্ছে। জলাবদ্ধতা মহানগরীর বড় একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তবে মেগা প্রকল্পের আওতার বাইরে যে সমস্ত খাল ও নালা রয়েছে সেই সব স্থানে পরিস্কার রাখার কাজ চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা আজ পূর্ব বাকলিয়া, গোসাইল ডাঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা, জালালাবাদ ও পাথরঘাটা ওয়ার্ডে বৃষ্টির কারণে নালা ও খাল দিয়ে স্বাভাবিক পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে স্কেভেটর দিয়ে পরিস্কার করে দিয়েছে।

এ ছাড়াও পূর্ব-বাকলিয়া ওয়ার্ডের গুপ্তখালের ব্রীজের কাজের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, যা সকালে পরিস্কার করে পানির প্রবাহ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। মেয়র বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে পলি মাটি গিয়ে নালা ও খাল ভারাট হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় শহরে পানি উঠে, আবার তা সরেও যায়। আমরাও তেমনটা চাই। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়েছে যার কারণে উপকুলীয় শহর হিসেবে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ জোয়ারের পানি, এটাকেও ব্যাবস্থাপনায় আনতে হবে। তিনি বলেন, নগরীতে এক সময় ৭৬টি খাল ছিল এখন আছে ৫৭টি।

অনেক খাল ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে। তিনি জলাবদ্ধতার মেগাপ্রকল্প বহির্ভূত ২১ টি খাল ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে খনন করার প্রকল্প বান্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি জলাবদ্ধতায় ও পাহাড় ধ্বসে ভোগান্তিদের যে কোন সমস্যা নিয়ে চসিকের বাটালি হিলস্থ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান। মেয়র বলেন, জলমগ্ন এলাকা জালালাবাদ, চাঁন্দগাও, পূর্বষোলশহর, শুলকবহর, লালখান বাজার, উত্তর আগ্রাবাদ ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে কাউন্সিলদের মাধ্যমে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নূর-মোস্তাফা টিনু, আবদুস সালাম মাসুম, মুহাম্মদ আবুল হাসেম, স্থানীয় আমিনুল হক রঞ্জু, তৌহিদুল আলম, ওয়ার্ড সচিব তারেক সুলতান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব সঙ্গীত দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধমোহছেন আউলিয়ার (র.) ওরশে ভক্তদের ঢল