জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গত বুধবার দুই দেশের পক্ষ থেকে আকস্মিক ঘোষণা আসে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
বিরল এই যৌথ ঘোষণায় দুই দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বাতাসে কার্বন গ্যাসের নির্গমন কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে চলতি দশকে আরও উদ্যোগ নেবে তারা। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখার জন্য কার্বন গ্যাস নির্গমন কমানোর যে অঙ্গীকার দেশগুলো করেছিল, সেকথা স্মরণ করে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
শক্তি তৈরির জন্য যখন জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়, সেখান থেকে বাতাসে মেশে বিভিন্ন কার্বন গ্যাসের বেশিরভাগটাই কার্বন ডাইঅঙাইড। এসব গ্যাস সূর্যের আলো থেকে তাপ ধরে রাখে। ফলে বাড়তে থাকে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এই বাড়তি তাপমাত্রাই বদলে দিচ্ছে জলবায়ু, এক দিনে বরফ গলে যাচ্ছে, আরেক দিকে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। চরম আবহাওয়া ডেকে আনছে মৃত্যু আর ধ্বংস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিপর্যয় এড়াতে হলে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি কমিয়ে আনতে হবে। সেজন্য কমাতে হবে কার্বন গ্যাস নির্গমন। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বনেতারাও তাতে একমত হয়েছিলেন।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনকারী দেশের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চীন আর যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন করছে, চীন বাতাসে ছড়াচ্ছে তার দ্বিগুণ গ্যাস।