চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্বিতীয়বারের মতো বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮শ শিক্ষার্থী তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শন, পোস্টার প্রদর্শনী ও ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রকল্প উপস্থাপন, রোবো সকার প্রতিযোগিতা, হ্যাকাথন, পপ কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞান বিষয়ক উপস্থিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চবি সায়েন্টিফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ বিজ্ঞানমেলা। ‘চিটাগং সায়েন্স কার্নিভাল ২.০’ অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী আয়োজনে সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের বিরতির পর ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনার হয়। এরপর প্রতিযোগিতার বিচারকরা বিজয়ী নির্ধারণ করেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আজকের যুগে বিজ্ঞান সামগ্রিকভাবে গ্রহণ না করলে আমরা পিছিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করে আসছে।
সভায় ইউজিসি অধ্যাপক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক প্রফেসর ড. হাসিনা খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব কৃষিতে পড়ছে এটা অকল্পনীয়। হাওড়ে আধাপাকা ধানগুলো কেন কেটে ফেলতে হচ্ছে? এগুলো ভাবতে হবে। মাটির লবণাক্ততা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যার ফলে আমাদের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। হাসিনা খান বলেন, আমাদের অর্ধেকের বেশি নারী, তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা বিজ্ঞানে এগুতে পারবো না। তাদের উৎসাহিত করতে হবে বিজ্ঞানে এগিয়ে আসার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নাসিম হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিচালক মফিদুল আলম, মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রফেসর বাসনা মুহুরী।