জলরাশির জলতরঙ্গে জীবন হয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। চার কর্তৃপক্ষ প্লিজ রশি টানাটানি করে দোষের বহর না টেনে সর্বনাশের কথা ভাবুন, দেখুন নগরে পানির সয়লাবে কি ক্ষতি হলো চট্টগ্রামবাসীর? দয়া করে উন্নয়নের ফিরিস্তি না বলে জনতার কাতারে আসুন। অঘোষিত বন্যা থেকে নগরের নাগরিককে রক্ষা করুন। পানির নির্দয় আচরণ থেকে মুরাদপুর, ষোলশহর, বহাদ্দারহাট, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বগারবিল, মৌসুমি আবাসিক, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, শান্তিনগর, চান্দগাঁও, হালিশহর সহ ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র খাতুনগঞ্জকে পানি মুক্ত জোনে আনার তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে পুরো নগরী। ক্ষোভের আগুনে না ঠেলে জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করুন। আগে ছিল হাঁটু জল, আর এখন কোমর পর্যন্ত পানির জলরাশির ভাবিয়ে তুলছে। চার চার কর্তৃপক্ষের খোঁচাখুঁচিতে মন ভিজে না। নগরীর নিচতলা এবং যত গৃহ আছে সবার আসবাব পত্র সহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভেসে গেছে পানির স্রোতে। ঘরে রান্না করে খাবার সুযোগও ভেস্তেগেছে। আহারে নাগরিক দুঃখের কথন বলে শেষ করা যাবে না। সিডিএ, চসিক, ওয়াসাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমুদয় সংস্থাগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু একে অন্যকে দোষ প্রদানে বেপরোয়া দেখা যায়।
২০১৭ সালে জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০ হাজার কোটি টাকার মেঘা প্রকল্প আলোর মিছিলে দাঁড় করাতে পারেনি সমুদয় কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃষ্টিতে ডুবছে পুরো চট্টগ্রাম নগরী। ডুবছে শহরের সব সড়ক ও বড় বড় মহাসড়ক। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশের অর্থনীতি প্রাণ ফিরে পাবে। আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেগা প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ কালে এও সম্পূর্ণ কাজের সম্ভাবনা দেখছি না। পাহাড় ধসে মানুষ মরে, ঘরে পানি ঢুকে বাবু মরে, নালার স্রোতে পড়ে বাবু হারায় ময়লা স্তুপে ১৭ ঘণ্টা পর লাশ মিলে। হায়রে চট্টগ্রামবাসির নিয়তি। প্রাণ কেন্দ্রে প্রাণ নেই, অতল পানির প্রলয়ে এখন সব দিশাহীন। নগরের এমন কোনো স্থান নেই যে জলাবদ্ধতায় থমকে যাইনি। এই মৌসুমে আরো ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রামের দায়িত্ব আমি নিলাম’। বরাদ্দ দিলেন অথচ ওমেঘা প্রকল্পের কার্য চোখে পড়ে না। আমরা চট্টগ্রামবাসী শঙ্কিত। অকার্যকর সংস্থাগুলো দিয়ে আর অপেক্ষার সময় নিধন করা যায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রাম উন্নয়নের চাবির মুশক টেনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চট্টগ্রাম উন্নয়নে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।