বাঁশখালী উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলকদর খালে অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও কিছুতে তা রোধ করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন নিত্য নতুন স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে জলকদর খালের বাঁশখালীর কোনো না কোনো অংশে। এদিকে চাম্বল ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সর্ব পশ্চিম সীমান্তবর্তী গণ্ডামারা জলকদর খালের সাথে সংযুক্ত ‘ছিবাখাল গোদারপাড় স্লুইসগেট’ সংলগ্ন স্থানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন মো. আমির হোসেন এক ব্যক্তি। চাম্বল–শীলকূপ সংযোগ গোদারপাড় জলকদর ছিবা খালের স্লুইসগেটের পাশেই সরকারি জায়গার উপর স্থাপনা নির্মাণ করছেন তিনি। পশ্চিম চাম্বল খোদারপাড় ছিবাখালের স্লুইসগেট সংলগ্ন স্থানে প্রধান ফটকে স্থাপনা নির্মিত হলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হবে।
পার্শ্ববর্তী চাম্বল–শীলকূপ ইউনিয়নের সংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এখানকার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজারো একর জমির চাষাবাদ অনিশ্চিত ও গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষক ও জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
তবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে আমির হোসেন বলেন, ‘এটি পাউবোর জায়গা। সবাই তো দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছে। আমার পূর্বের দোকানের মাটি সরে যাচ্ছে। মাটি রক্ষার্থে পেছনের দিকে একটু বাড়াচ্ছি। সরকার চাইলে ভেঙে দিবে আর কি।’ চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা এ ব্যাপারে বলেন, যারা অবৈধভাবে জলকদর খালের জায়গা দখল করছে এবং সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলকদর খালের দখল উচ্ছেদে হাইকোর্টের যে রিট হয়েছে তার কোনও কপি এখানো অফিসে আসেনি। তার পরেও যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।