অবশেষে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন গতকাল বুধবার সকাল থেকে জলকদর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে। উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে সীমানা নির্ধারণ ও উদ্ধার কার্যক্রম খানখানাবাদ ঈশ্বর বাবুরহাট অংশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেই শুরু করা হয়েছে। অভিযানকালে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল খালেক পাটোয়ারী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, পাউবো, জনপ্রতিনিধি সহ বাঁশখালীর বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জলকদর খাল দখল ও ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
অভিযোগ রয়েছে জলকদর খালসহ উপকূলীয় অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ তদারকি না থাকার কারণে দিন দিন ভরাট ও অবৈধ দখল বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে অবহেলা অপরদিকে অবৈধ দখলের অভিযোগ করা হলেও তা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জলকদর খালের এ অবস্থা হয়েছে ।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বাঁশখালীর অভ্যন্তরে বয়ে যাওয়া এ জলকদর খালের গুরুত্ব অনেক। এটা সংস্কার করা হলে পাহাড়ি ঢল ও জলাবদ্ধতা কম হলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে থানা প্রশাসন সর্বাত্মক
সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা জলকদরের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সীমানা নির্ধারণের জন্য জেলা প্রশাসক ৬ জন সার্ভেয়ার নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা একজন সার্ভেয়ার দিবে। আমরা সীমানা নির্ধারণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বুঝিয়ে দিব।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা মত জলকদরের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। নতুন করে কেউ যেন আর স্থাপনা নির্মাণ না করে তা অবগত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালটি দখলমুক্ত করতে সর্বাত্মক কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।