কঠোর লকডাউনের দশম দিন পার করেছে চট্টগ্রাম। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিধিসহ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় ৯৩০ জনকে প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। তারপরেও যেন সচেতন হচ্ছে না মানুষ। জরিমানায়ও থামানো যাচ্ছে না তাদের। এদিকে দিনদিন বাড়ছে করোনার প্রকোপ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা থেমে নেই। রাস্তায় দৃশ্যমান ব্যক্তিগত গাড়ি। কাঁচাবাজার, অলি-গলি সরব মানুষের জটলায়। দোকানপাটও থাকছে খোলা। অথচ করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের বিকল্প নেই।
জেলা প্রশাসন বলছে, কঠোর লকডাউন শুরুর পর থেকে এর বাস্তবায়নে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, শিল্প কারখানা, বন্দর খোলা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, তাদের ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। জরুরি সেবার আওতাধীন ৩১ ধরনের পরিবহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এর বাইরে কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, মুদি দোকান, খাবারের দোকান খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। সেজন্যই রাস্তায় মানুষের জটলা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জীবন-জীবিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, শ্রমজীবী মানুষরা দিনে এনে দিনে খায়। এসব বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তবে এর বাইরে যারা কোনো কারণ ছাড়া বের হচ্ছেন বা দোকানসহ যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।