২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কানাডা।
জবাবে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন দলটির ব্যাটার অ্যারন জোনস তিনি। তবে জয়ের আনন্দ সঙ্গী হয়েছে তার। জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
টি-টোয়েন্টিতে এত রান তাড়ায় এর আগে জয়ের মুখ দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন ওপেনার স্টিভেন টেইলর। এরপর অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল ও অ্যান্ড্রিস গাউস মিলে ৪২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। ১৬ বলে ১৬ রান করে মোনাঙ্ক ফিরলেও বিপদ হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। কারণ বাকি পথটা সহজ করে দেন জোনস।
গাউস বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। তার জোটসঙ্গী জোনসও পেয়ে যান প্রথম ফিফটির দেখা। ১৬তম ওভারে গাউস যখন ব্যক্তিগত ৬৫ রানে ফেরেন, ততক্ষণে জয়ের বন্দর দেখতে শুরু করেছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। নিখিল দত্তের বলে আউট হওয়ার আগে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান গাউস।
এরপর বাকি কাজ সারেন জোনস। ঝড়ের গতিতে রান তুলতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ২২ বলে তুলে নেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি। এমনকি ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। হাঁকিয়েছেন ১০টি বিশাল ছক্কা। তবে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করা হয়নি তার। তার আগেই দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জোনস।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় কানাডা। দলটির দুই ওপেনার মিলেই তুলে ফেলেন ৪৩ রান। এর মধ্যে অ্যারন জনসন ১৬ বলে ২৩ রান করেন। তবে আসরের ও বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন নভনীত ঢালিওয়াল। ৪৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রান করেছেন তিনি।
দুর্দান্ত খেলতে থাকা নভনীতকে বিদায় করেন কোরি অ্যান্ডারসন। আজকের ম্যাচে খেলতে নেমে দুই দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন সাবেক কিউই অলরাউন্ডার। নতুন দলের হয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই উইকেটের দেখা পেলেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বস্তি কেড়ে নেন নিকোলাস কিরটন ও শ্রেয়াস মোভভা। ৩১ বলে ৫১ রান করেন কিরটন,যা আসরের দ্বিতীয় ফিফটি। এরপর ১৬ বলে ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোভভা।