সুধীনের কবিতার মতো
রাষ্ট্রায়ত্ত ফাঁসির দড়ি নিয়ে
হেঁটে যাওয়া জল্লাদের
চোখেও ঘুম আসে, প্রিয়তমা!
কর্কশকণ্ঠী পাখিটিও ফিরে নীড়ে
তবু কেন জানি জেগে রয় বোকা চাঁদ,
আকাশভরা তারা অন্ধকার।
বিপ্রতীপ ভূগোলের মাটি
অতিক্রান্ত ইতিহাস
নিয়ে ঢুকে যায় সময়ের
পাগলা গারদে; তবুও তোমার
চুম্বনের মতো কোনও
টনিকের জোরে মানুষের
পক্ষে ধরে না কেউ বাজি!
অন্ধকার চুরমার করে
দেওয়া গন্ধরাজের সুবাস
যদিওবা কিছুটা মানুষের মতো
উজ্জ্বল বোধিগন্ধী প্রতীকের আশ্রয়;
হত্যা আর হিংসায়
মত্ত মানুষের জঘন্য মিতালি এড়িয়ে
সুধীনের কবিতার মতো
দুর্বোধ্য ইশারায় তবে ডাকি কারে?
যেন তারা জ্যোতিষীর পোষাপাখি
যখন দেখি
বহু দূরে,
আড়ালে,
গ্রহান্তরের অমনুষ্যলোকে
নির্বাসিত বুদ্ধের মতো
করুণার হাসি নিয়ে
চেয়ে আছি
নিজের দিকে,
যেন দুষ্পাঠ্য প্রতিচ্ছবি আয়নার!
যুদ্ধ,
মন্বন্তর
আর
প্রতারণায়
কেটে গেছে
বহুবার
আরেকটি বছর!
কিছুটা মানুষ
আর
কিছুটা পাখি হওয়ার
অনিবার্য সাধ বিক্রি করে
আয়ুপথ কিনি!
আর,
অফুরান অবসর হাতে নিয়ে তাই
দেশে দেশে
বাঁধাছকে
ফরমান তোলে
পৃথিবীর তাবৎ মাতুব্বর!
যেন তারা জ্যোতিষীর পোষাপাখি !
এভাবেই প্রতিবার
আরেকটা মুহূর্ত কেটে যায়–
যুদ্ধ
মন্বন্তর
আর
প্রতারণায়!
পৃথিবী বন্ধক রেখে কিনি
তোমার চোখের কাজল
ঈশ্বরের চিতায় সহমরণে ওঠা
ধর্মের মতো অপদার্থ দিনে!
joydeb01721@gmail.com