জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেছেন, ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয়ে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ করে মাদ্রাসার সাথে সাধারণ শিক্ষার যে সকল বৈষম্য রয়েছে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেসক অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে সেসব আদায়ে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা জমিয়াতের কাউন্সিল গতকাল রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি মেমোরিয়াল হল রুমে অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও ড. মহিউল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর শাখা জমিয়াতের কাউন্সিল অধিবেশনে উদ্বোধক ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈন উদ্দীন আশরাফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল আলিম রেজভী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ। জমিয়তুল মোদার্রেছীনের অর্জন ও দাবির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মহাসচিব বলেন, দেশের মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দপ্তরসমূহ তথা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে আলাদা মাদারাসা বিভাগ, মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসহ যত ধরনের নীতি নির্ধারণী দপ্তর রয়েছে সে সকল দপ্তর জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দাবীর প্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্তকরণ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, মাদ্রাসার ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মেধাবী ও মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, বেতনের বাইরেও শিক্ষকদের অন্যান্য ভাতাদী প্রাপ্তির বিষয়সমূহ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের চেষ্টার ফসল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ড. আল্লামা কামাল উদ্দিন আজহারী, অধ্যক্ষ আমির আহমদ আনোয়ারী, ড. মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন, অধ্যক্ষ আবদুল গফুর, অধ্যক্ষ ত্বোয়াহা মোদ্দাচ্ছের, অধ্যক্ষ রিদুয়ানুল হক, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আয়ুব নাছের, উপাধ্যাক্ষ মোরশেদ কাদেরী প্রমুখ। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল আলিম রেজভীকে সভাপতি, অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকীকে সিনিয়র সহসভাপতি, অধ্যক্ষ আমির আহমদ আনোয়ারীকে সাধারণ সম্পাদক, ড. মহিউল হককে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এবং ৫জন বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে মিলাদ–ক্বিয়াম ও দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।