উচ্ছেদ অভিযানে জব্দকৃত মালামাল স্টোরে জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারিরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করায় নগরীর রাইফেল ক্লাব থেকে নিউ মার্কেট ও ফলমণ্ডি হয়ে কদমতলী পর্যন্ত গতকাল সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালায় চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। এতে নেতৃত্ব দেন উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চোধুরী। অভিযানে চৌকি, তার, বালতি, পানির ড্রাম, টুল-টেবিলসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দ মালামাল এনে রাখা হয় আন্দরকিল্লাহস্থ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান অফিসের পাশের খালি মাঠে।
এদিকে গতকাল বিকেলে দেখা গেছে, কিছু লোক জব্দকৃত মালামালগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় কারো হাতে ছিল জগ। অনেকে বালতি এবং কেউ তারও নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সেখানে দায়িত্বরত সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা বিভাগের আনসার সদস্যদেরও বিভিন্ন জিনিসপত্র বাছাই করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের এক কর্মকর্তা বলেন, জব্দকৃত মালামাল অনেকে ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চোধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘রাস্তাঘাটে হকার না বসতে প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা আছে। নির্দিষ্ট সময়ও বেধে দেয়া আছে। এরপরও অনেকে যেখানে-সেখানে বসে যাচ্ছেন এবং সময়ের আগে বসে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তবে বড় ধরনের না। গতকাল অভিযানের সময় জব্দকৃত মালামালের তিনটি গাড়ি তিনজন সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তাদের বলেছি, আনসার দিয়ে সিকিউরিটিকে বুঝিয়ে দিতে। মাঠে না, তাদেরকে ভেতরে রাখতে বলেছি। কেউ নিয়ে গেছে সে খবর আমি পাইনি। এখন বিষয়টি আমি দেখবো।’
এ কর্মকর্তা আরো বলেন, তেমন মূল্যবান কোন জিনিস আমরা জব্দ করিনি। জাস্ট হকারদের ভয়-ভীতিতে রাখার জন্য অভিযান চালিয়েছি। হকারদের উপর আমাদের ক্ষোভ নেই। শুধু চাচ্ছি শৃঙ্খলার মাধ্যমে তারা ব্যবসা করুক। তিনি বলেন, অনেক দোকানদার ফুটপাতে অংশ বর্ধিত করে টিন দিয়ে রেখেছে। কেউ ত্রিপল দিয়ে রেখেছে। সেগুলো জব্দ করেছি। তাদের বলেছি, দোকানের মধ্যেই ব্যবসা করতে, ফুটপাতে যেন না আসে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের জনংসযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনসাধারণের হাঁটা-চলার পথ রুদ্ধ করে ফুটপাতের উপর রাখা অবৈধ চৌকি জব্দ করে চসিক স্টোরে জমা করা হয়।