চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারি–বেসরকারি সুযোগ–সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন। তাই একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে বিনা খরচে জন্ম নিবন্ধন করা যায়। সকল ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে গুরুত্বের সাথে যাচাই–বাছাই সাপেক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
গতকাল জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন। নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’। আলোচনা সভার পূর্বে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার। এরপর বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, প্রতিটি শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যাতে সে নাগরিকত্ব পায় সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকার জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। জন্মের পর পর কোন শিশু যাতে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
জেলা প্রশাসনের আরডিসি রাজীব হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদি–উর রহিম জাদিদ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি।