বছর শেষে জন্মদিন আসা মানে সর্বমোট আয়ু হতে ১ বছর খসে পড়া। আমার মনে হয়, বিষয়টি সকলের জন্য আনন্দের হলেও যার জন্মদিন তার জন্য মোটেও আনন্দময় হওয়ার কথা নয়। কারণ মধ্য রাতে সেকেন্ড–মিনিট–ঘণ্টার কাটা যখন মধ্যরাতে স্থির হয় তখন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সর্বমোট আয়ু হতে ১ বছর হ্রাস পায় অথচ আমরা প্রতিনিয়ত অনেক কষ্ট সহ্য করে এ সুন্দর ভুবনে বেঁচে থাকতে চাই।
আমার আত্মীয়–স্বজন, শিক্ষাগুরু, সহকর্মী, প্রিয়জন, বন্ধু–বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন স্তর হতে যখনই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তখনই মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসার চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে, মনের মাঝে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা উঁকি দিয়েছে। এ নিয়ে অনেক ভাবনার পরে একটি বিষয়ে উপনীত হলাম যে, আমরা দুনিয়াতে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চাইলেও সৃষ্টিকর্তার রহস্যের কারণে বয়স শেষে শারীরিক ভাবে বেঁচে থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে আমার মনে হয় পার্থিব জীবন শেষে আত্মীকভাবে সকলের মাঝে বেঁচে থাকারও একটি চমৎকার ও শিক্ষণীয় কৌশল রয়েছে। তা হলো জীবন্ত অবস্থায় ভালো কর্ম তথা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ সমাজ তথা দেশের মানুষের উপকারের জন্য কিছু করতে পারলে এসব কর্মই মৃত্যুর পরে সকলের মাঝে কাজের পরিধি হিসেবে অনেক অনেক বছর মানুষের অন্তরে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাগিয়ে রাখে। আমরা সকলেই জানি পরকালের জীবনই হলো আমাদের সকলের জন্য মূল জীবন। তাই তো মৃত্যুর পরের জীবনের শান্তির জন্যই আমাদের দুনিয়াবী জীবনের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।











