তুমুল সমালোচনা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের পর ড্রেস কোড নিয়ে নির্দেশনাটি বাতিল করে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইপিএইচ) পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আগের নির্দেশনা বাতিলের কথা জানান। তার আগে দিনভর তাকে নিয়ে সমালোচনার পর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিসও পাঠানো হয়েছিল তাকে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুর রহিম বলেন, উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সকলের কাছে অনিচ্ছাকৃত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি। সেই সাথে গোটা জাতির কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করছি। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৮ অক্টোবর আইপিএইচ পরিচালক রহিম এক বিজ্ঞপ্তিতে তার অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং নারীদের হিজাব পরে পর্দা মেনে চলার নির্দেশনা দেন। তাতে বলা হয়েছিল, ‘অত্র ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।’ নোটিসটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, সরকারি চাকরিবিধি অনুসারে এটা তো উনি কোনোভাবেই করতে পারেন না। উনি এমন কোনো নোটিস দিতে পারেন না। এরপর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে বলেন ডা. রহিমকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক কর্তৃক জারিকৃত পোশাক সংক্রান্ত বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বিষয়টির ক্ষেত্রে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ নিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর রোববার এ বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানানো হবে।