জনমানুষের আস্থা নিয়ে গড়ে উঠুক আধুনিক ব্যাংকিং সংস্কৃতি

রিজোয়ান মাহমুদ | মঙ্গলবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

ব্যাংকের নিজের কোনো অর্থ নেই। সৃজনও করে না। বাজার থেকে জনগণের অর্থ সংগ্রহ করে পুনরায় জনগণকে প্রদান করে। জনগণ থেকে সংগ্রহ করা আমানত পুনরায় জনগণের মধ্যে বিতরণের যে ঋণ প্রক্রিয়া সেটিই ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, মোটা অর্থে। এবং বাজারের আমানত বিনিয়োগে যে হারে লভ্যাংশ দেয় তা সুদ। ব্যাংকের প্রধান কাজ জনগণ থেকে সংগৃহীত আমানত যথাযথ ব্যবহার করা। এবং সংগৃহীত অর্থ খাত বিবেচনা পূর্বক বিধিমালা অনুযায়ী বাজারে ঋণ সৃষ্টি করা। সর্বোপরি, তা থেকে সুদ আহরণ করা। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে সুষ্ঠু বিনিয়োগের স্বার্থে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও আইনানুসারে চলতে হয় অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থাগুলোকে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এপেক্স ব্যাংক। যার কাজ দেশের মানি মার্কেট স্বাভাবিক ও সক্রিয় রাখা। পরামর্শ ও নিরীক্ষা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও অন্যতম প্রধান কাজ। ব্যাংক কখনো বাজারের সংগৃহীত অর্থ সম্পূর্ণ বিনিয়োগ করে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন্স অনুযায়ী শতকরা ৮১ ভাগ বিনিয়োগ করে অপর ১৯ ভাগ লিকুউইড বা অর্থ তারল্য হিসেবে রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় আইনানুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সি আর আর বা ক্যাশ রেশিও রিজার্ভ ৫% নগদ ক্যাশ এবং বন্ড বা অন্যান্য দলিল স্থাপনের মাধ্যমে এস এল আর বা স্ট্যাটিউটারি লিকুইডিটি রেশিও ১৩% রিজার্ভ রাখার বিধান আছে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ঋণের নিয়ন্ত্রণসহ বড়ো ঋণের ক্ষেত্রে এন ও সি বা নো অব্জেকশন সার্টিফিকেট প্রদান করে। এ ছাড়াও ক্যামেলস রেটিং করে প্রতি বছরান্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রধান কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ক্যামেলস্‌ রেটিং সিস্টেম হলো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড যা ব্যবহার করে একটি ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা বুঝা সম্ভব হয়। ক্যামেলস রেটিং সিস্টেম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সর্বত্র স্বীকৃত রেটিং সিস্টেম। এই রেটিং এর ছয়টি ফ্যাক্টর হচ্ছে; ক্যাপিটেল এডিকুয়াসি বা মূলধনের পর্যাপ্ততা ২) এসেট কোয়ালিটি, সম্পত্তির গুণগত বৈশিষ্ট্য ৩) ম্যানেজনেন্ট এবিলিটি, ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা ৪) আরনিং ক্যাপাসিটি, উপার্জন ক্ষমতা ৫) লিকুইডিটি, তারল্য অবস্থা ৬) সেন্সিভিটি বা স্পর্শকাতরতা। এতসব এসিড টেস্টের ভেতরেও বিতরণকৃত অর্থ অনেকক্ষেত্রে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়। তখন তোড়জোর শুরু হয় খেলাপি ঋণ আদায়ে। সবসময় আদায়ের হার খুবই কম। অর্থাৎ গ্রাহক ঋণের টাকা খুব সহজে ফেরত দিতে চান না। এটি এই উপমহাদেশে খারাপ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও যখন ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত পেতে ব্যর্থ হয় তখন সেই নির্দিষ্ট গ্রাহকের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা রুজু করতে হয়। এদিকে ঋণ সুদসহ ফেরত না পেলে ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল থেকে ক্রমশই দুর্বল হতে থাকে। যেমন গত এক বছরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত এসব তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দৃষ্ট হয়। গ্রাহকদের ঋণ ফেরত দেওয়া সুবিধার্থে করোনাভাইরাস সৃষ্ট সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবসায়ীদের জন্য সুরক্ষা নীতি গ্রহণ করে। এর ফলে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্নে ২০২০ সালে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেই খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি পান। সেই সময় থেকে আজ অব্দি ঋণ পরিশোধ না হওয়াতে এবং নতুন ঋণ শ্রেণিকৃত হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। খেলাপি ঋণ এর মধ্যে যদি খারাপ বা কুঋণ ক্রমশঃ বেড়েই চলে তা একটা ব্যাংক শাখার প্রফিটের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ১০০ % প্রভিশন ধরে ব্যাংক শাখাগুলো লসের দিকে এগুতেই থাকে। ব্যাংকের সম্পদ বাজারে ভালো ঋণের আধিক্য যা থেকে সে সুদ আহরণ করে। বাজারে প্রদত্ত ঋণের পুরোভাগ যদি মন্দঋণে রূপান্তরিত হয় সে ঋণ ব্যাংকের কাল হয়ে দাঁড়ায়। উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। শুধু শিল্প উন্নয়ন নয়, কঞ্জুমার খাত থেকে ছোট ব্যবসা খাত পুনরুজ্জীবিত বা চাঙ্গা হতে পারে ব্যাংক ঋণ নিয়ে। গত তিন দশক থেকে ব্যাংক জনগণের বন্ধু হয়ে ওঠেছে। বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করে দেশের মেক্রো এবং মাইক্রো অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ঋণ নেওয়া ৮০% শতাংশ হলেও সুদসহ মূলঋণ ফেরত পাওয়া হার ২৫ % শতাংশের বেশি নয়। জনগণের জন্য যে অর্থনীতি সেটিতে জনগণেই কোদাল মেরে আঘাত করে। আমাদের দেশে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার অনেক বেশি স্ফীতি পাচ্ছে। উন্নয়ন বাজেটের কিয়দংশ ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। সে অনুযায়ী আমাদের ক্রমবর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে যে ব্যাংকসমূহ বর্তমানে অর্থবাজারে ক্রিয়াশীল তা সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবস্থাপনায় চলতে দেয়া হলে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর নতুন ব্যাংক এর লাইসেন্স দেবার প্রয়োজনীয়তা নেই। অর্থনীতির আকার অনুযায়ী নতুন ব্যাংক আসুক, আপত্তি নেই। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে কোনোভাবেই নয়। এটা পরীক্ষিত সত্য যে রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় আসা ব্যাংক শেষ পর্যন্ত দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ব্যাংক সর্বক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি বিশেষের প্রভাব বলয়ে থাকলে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাঁধাগ্রস্ত হয়। ব্যাংকের এই দুর্যোগ শুধু আমাদের দেশে নয়। ইউরোপ আমেরিকায় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা। হঠাৎ জানা গেল আমেরিকায় দেউলিয়া দুটো জনপ্রিয় ব্যাংক। সিলিকন ভ্যালির পর সিগনেচার ব্যাংকের একই করুণদশা। সারাবিশ্বে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি ব্যাংক নিয়ে শোরগোল জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু তার আগেই যাবতীয় নথিপত্রসহ অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। দুটো ব্যাংক খুবই জনপ্রিয় ছিল অর্থবাজারে। কী কারণে দুরবস্থার শিকার স্পষ্ট জানা না গেলেও অনুমিত হয় সম্পদ ও দায়ের ভারসাম্যহীনতা। অথবা দীর্ঘ অব্যবস্থাপনা ও পরিচালনগত সমস্যার কারণে ঘটতে পারে এমন বিপর্যয়। ২০০৮ সালে সারাবিশ্ব চরম এক আর্থিক মন্দার শিকার হয়েছিল। সেসময় ব্যাংক ব্যবস্থা ও অন্যান্য আর্থিক খাত বড় রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। ধীরেধীরে পতিত সে দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠে আজকের অবস্থা অনেক ম্যানেজমেন্ট টুলস নিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন সবমহলকে আশ্বস্ত করেছে তিন দিনের মাথায় বন্ধ হওয়া দুটি ব্যাংকের যাবতীয় দায় সরকার নেবে। আবার কড়া বার্তাও দিয়েছেন যারা দুটি ব্যাংক বন্ধের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম সমুদয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভয় ও শঙ্কা থেকে জনগণকে চিন্তামুক্ত রেখেছেন। এদিকে আরেকটি ভয়ঙ্কর খবর চাউর হয়েছে। দুটো জায়েন্ট ব্যাংক বন্ধের কারণে জাপানের টপিক্স ব্যাংকের সূচকের পতন হয়েছে ৭ শতাংশ। মিতসুবিশি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়াও ইউরোপের দেশ স্পেনের স্যান্টানডার ও জার্মানির কমার্স ব্যাংকের শেয়ারদর ১০ শতাংশের বেশি নিচে নেমেছে। অর্থাৎ আমেরিকায় নেতিবাচক কিছু হলে অপরাপর বিশ্বে তীব্র প্রভাব পড়ে। হঠাৎ ব্যাংক ব্যবস্থায় বন্ধ ও ধস নামাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। গত ১৫ মার্চ ২০২৩ সে দেশের ব্যাংকগুলোতে বাজার মূলধন কমেছে কমপক্ষে ৯০ মিলিয়ন ডলার বা ৯ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক বন্ধ হওয়ার চার দিনের মাথায় তাদের বাজার মূলধন হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯০ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার কোটি ডলার। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি নামকরা ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক এর শেয়ারদর ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে।

রাশিয়া ইউক্রেন লাগাতার যুদ্ধ, বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীল টালমাটাল অর্থনৈতিক চিত্র আমাদের দেশের অর্থনৈতিক চিত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগেও অনেক ব্যাংকগুলোর তারল্য সম্পদ নিয়ে এন্তার প্রশ্ন উঠেছে। ডলার সংকটের কারণে এল সি খুলতে ব্যর্থ হচ্ছে গ্রাহক বৃন্দ। অর্থাভাবে নতুন বিনিয়োগে যেতে পারছে না ব্যাংকগুলো। খেলাপি ঋণ আদায় বলতে গেলে শূন্যের কোটায়। হাজার হাজার মামলা অর্থঋণ আদালতে পেন্ডিং। বাজার থেকে নতুন করে অর্থ সংগ্রহের জন্য ডিপোজিটের ওপর প্রদেয় সুদ বাড়াচ্ছে অনেক ব্যাংক। গেল দুদশক পূর্বে কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হওয়াতে পূর্বতন নাম পরিবর্তন করে নতুননামে বাজারে সক্রিয় থাকার ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থ যথাসাধ্য অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টাও করা হয়েছে। আমাদের ৪ টি রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকের অবস্থা এখনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় নি। অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। পাশ্চাত্য ও আমেরিকার অর্থনীতি অনেক বড়। মানি মার্কেটে ও মূলধনী বাজার চাঙ্গা রাখার পর্যাপ্ত বিকল্প ব্যবস্থা আছে তাদের। এবং পতন ঠেকাতে তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা এবং নিতেও পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তবু বলতে হবে উল্লেখযোগ্য কোনো খারাপের দিকে আমাদের ব্যাংকগুলো যায় নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা ১০ টি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ। ঐ সমস্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে যাওয়াসহ ঋণ অনাদায়ী রয়েছে অনেক। ঋণ প্রবাহ প্রফিট মার্জিন আশাব্যঞ্জক নয়। সেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুক্ষ্ম নজরদারিতে আছে। তবে সতর্কতা বাড়াতে হবে প্রতিটি পদক্ষেপে; খেলাপি ঋণ আদায়, যাচাইবাছাই করে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো, কমসুদে আমানত সংগ্রহ, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড রীতিনীতি অনুসরণ করে ঋণসুদের স্প্রেড না বাড়ানো, ব্যাংকে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ না থাকা, অর্থঋণ আদালতকে আরও গতিশীল করা, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কট করে একঘরে করা। অর্থবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এসব যে একেবারেই চর্চা করে না তা নয়, চর্চা করেও ভালো ফল পায় না। আইনের ফাঁকফোকরে অনেক কিছুই বেরিয়ে যায়। অতএব আইনের হাত শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংক অর্থনীতির শিরদাঁড়া আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে। জনমানুষের আস্থা নিয়ে গড়ে উঠুক আধুনিক ব্যাংকিং সংস্কৃতি।

অযাচিত প্রভাবে ব্যাংক অভাবী হয়। নগ্ন হস্তক্ষেপ ও স্বার্থবাদী চিন্তা বাদ দিলে বাজার স্বভাবী হবে, অবশ্যই। ব্যাংক জনগণের বন্ধু, মানতেই হবে।

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাগ্রত হোক সমপ্রীতিবোধ
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস