করোনাকালে গণপরিবহনে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে বেড়ে যায় সাইকেলের জনপ্রিয়তা। আর এই জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে নগরীতে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় সাইকেল চোরদের দৌরাত্ম্য। সংঘবদ্ধ এই চক্রে ১২ বছরের শিশু থেকে আছে ৩০ বছরের যুবকও। নগরীর পাঁচলাইশ, চকবাজার, আগ্রাবাদ ও ছোটপুল এলাকাকেন্দ্রিক এমন এক চক্রের খোঁজ মিলেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে। অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে চক্রের আটজন। উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি সাইকেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আবিদ হোসেন শ্রাবণ (১৩), মঞ্জুর (৩০), শরীফুল ইসলাম (২০), নবী হাসান জনি (১৯), সোহেল (২৬), আব্দুল হালিম জনি (২০), হৃদয় (১৮), মোরশেদ (৩২) ও মুহিদুল ইসলাম (২২)।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে জানান, কোতোয়ালী থানা এলাকায় চুরির চেষ্টার সময় মো. আবিদ হোসেন শ্রাবণ (১৩) নামে এক কিশোর অপরাধীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে ওই কিশোরকে চুরির সরঞ্জামসহ আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ওই কিশোরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর এলাকা থেকে মঞ্জুর (৩০) নামে আরেকজনকে আটক করে পুুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে চোরাই সাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১১টি চোরাই সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ চক্রের মূল কারিগর শ্রাবণ। ৭ ডিসেম্বর দুই নম্বর গেট এলাকার চিটাগং শপিং কমপ্লেঙ এলাকায় তার সন্ধান পায় পুলিশ। একটি কাটার দিয়ে তালা কেটে সাইকেল চুরি করে সে। পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছে থাকা ১১টি সাইকেল উদ্ধার করা হয়। সে জানায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল চুরি করে চিটাগং শপিং কমপ্লেঙ এলাকায় মজুদ করত তারা। এখন ওই ১১ সাইকেলের মালিককে খুঁজছে পুলিশ।