জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে অপসারণ করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির পক্ষে সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার এ আল্টিমেটাম দেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত কর্মকর্তা মুয়ীদ সাহেব। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ চাই। সরকার তাকে অপসারণ না করলে কীভাবে অপসারণ করতে হয় আমাদের সেই টুলস জানা আছে। এজন্য আগামীতে মহাসমাবেশ, অনশন করা হবে। আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, আজকের প্রতিবাদ সভা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ শুরু করেছে। আমি প্রস্তাব করব আগামী ৪ জানুয়ারি মহাসমাবেশের। সেটা ৪০০ পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠন ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে সভা করে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ। উপস্থিত ছিলেন বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও বাসা মহাসচিব মাহবুবুর রহমান। আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ গান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর
ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের প্রেসিডেন্ট শহীদুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এবং সাংবাদিক বি এম জাহাঙ্গীর।
আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের মাহমুদ হোসেন আলমগীর, বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ও ১৯৭৯ ব্যাচের এস এম জহরুল ইসলাম, ১৯৮১ ব্যাচের হেলালুজ্জামান, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও ১৯৮২ ব্যাচের এবিএম আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, প্রত্যাশা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. আব্দুল বারী, অফিসার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এম এ খালেক, ১৯৮৪ ব্যাচের নিয়ামত উল্লাহ ও শেখ আলাউদ্দিন, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মোহাম্মদ মসিউর রহমান, সদস্য মো. তৌহিদুর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ১৯৮৬ ব্যাচের মো. জাকির হোসেন কামাল, মঞ্জুর মোর্শেদ ও শামীম আল মামুন। প্রতিবাদ সভায় সারাদেশ থেকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।