অর্ধেক ভরাটের পর জনগণ সোচ্চার হওয়ায় বাঁশখালীতে রক্ষা পেয়েছে একটি শতবর্ষী পুকুর। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে শিব মন্দিরের উত্তর পার্শ্বে জলদাশ পাড়ার শতবর্ষী কর্মকার প্রকাশ কামাজ্যা পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পুরানো এ পুকুরটি ভরাটের ব্যাপারে পৌরসভা কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির ব্যানারে কিছুলোক এ কাজ চালিয়ে গেলেও পরে স্থানীয় জনগণ সোচ্চার হওয়ায় বাঁশখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাকাবাসীর জানায়, যুগ যুগ ধরে পুকুরটি ১০০ গজের মধ্যে থাকা উত্তরে জলদাশ পাড়া, দক্ষিণে শিব মন্দির এবং আশপাশের মানুষের পানির চাহিদা পূরণ করছে। দেশের প্রচলিত আইনে জলাশয় ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও পৌরসভা বা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই পুকুরটি ভরাট শুরু করা হয়েছে।
পুকুর ভরাট ও অনুমতি প্রসঙ্গে বাঁশখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে শিব মন্দিরের উত্তর পাশের জলদাশ পাড়ার শতবর্ষী কামাজ্যা পুকুরটি ভরাট করছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। শতবর্ষী পুকুরটি ভরাটের খবর পেয়ে পৌরসভার মাধ্যমে পুকুরটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুকুর ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রোজি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেয়নি।
পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র স্থানীয় প্রশাসন এবং পৌরসভার অনুমতি ছাড়া পুকুর বা জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। বিনা অনুমতিতে পুকুর ভরাটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভার পক্ষ থেকে পুকুরটি ভরাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেয়নি। দেশের প্রচলিত আইনেও জলাশয় পুকুর ভরাট বেআইনি।
বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ যদি পুকুর ভরাট করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।