সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। সরকার উন্নয়নের কথা বলে। বাস্তবতা হচ্ছে টিসিবির লম্বা লাইনই হচ্ছে এ সরকারের উন্নয়নের জ্বলন্ত উদাহরণ। তাই জনগণ তাদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, সবাই সরকারের পতনের দিকে তাকিয়ে আছে। চরম আন্দোলনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। বিনা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার নজির সারা দুনিয়ার কোথাও নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এখন রোজা হলেও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসে পৌঁছেছি। চট্টগ্রামের বিশাল সমাবেশ থেকে আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই বীর চট্টলা থেকেই পরবর্তী চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।
তিনি গতকাল শনিবার নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন। বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আগামী নির্বাচন একটি জাতীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না। আজ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ কথা বাস্তবায়নের।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বিধায় মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে এখন। এই বাকশালী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যুদ্ধের ময়দানে আমরা লড়তে এসেছি। আমরাই লড়ব, আমরাই গড়ব। দেশের মানুষ সরকারের পতন চায় ও খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়।
কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ–সভাপতি মামুন হাসান, সহ–সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম লিটন, ফেরদৌস মুন্না, মো. কামাল উদ্দিন দাদা, কেন্দ্রীয় যুবদলের উপজাতী বিষয়ক সম্পাদক আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, যুবদল নেতা মো. শাহজাহান, হাসান জসিম, মাহবুবুল আলম সবুজ, জাকির হোসেন জসিম, মো. নুরুন্নবী, মো. জহির উদ্দিন মাসুম, মোহাম্মদ আজগর, এসএম মুরাদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুল আমিন খান, নাসির উদ্দিন, সৈয়দ রাশেদুল হাসান লিংকন, জিসান উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী।