চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ গত ১৭ বছর ধরে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়াই সংগ্রাম করেছে। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষকে স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বহু মানুষকে গুম, খুন ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে, অনেক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। গত জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বহু প্রাণের বিনিময়ে এদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা এদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের জনগণ প্রত্যাশা করে তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আর প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই দেশে পরিপূর্ণ সংস্কার হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের দামপাড়া ১নং লেইনে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরাও সংস্কারের পক্ষে, তবে সংস্কারটি করতে হবে একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনে। সরকারের অনেকেই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে সংস্কারের কথা বলে জনগণের প্রত্যাশা উপেক্ষা করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভালোভাবে নেবে না। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্র হয়েছে বিএনপি তত শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের কোনো নেতা পালিয়ে যাননি। জেল জুলুম সহ্য করে রাজপথে থেকেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য রফিক সর্দারের সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা মো. ইদ্রিসের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মহানগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা শাহ আলম, শফিক আহমদ, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাসেল পারভেজ সুজন, হাজী আবু ফয়েজ, খোরশেদুর রহমান, হাফিজুর রহমান কচি, জামাল সরদার, শামসুদ্দোহা, ওবায়দুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মোহন সরকার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।