বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে গণতন্ত্রের মুক্তি বলে অভিহিত করেছেন দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী রাজনীতিতে এত সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, যা অন্য কেউ করেনি। অথচ শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিলো। কিন্তু ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে দেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের জনগণের কাছে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। তিনি গতকাল শুক্রবার বাদে আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
এসময় মীর হেলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন। তিনি এই উপমহাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। নারী নেত্রীদের মধ্যে বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই সংগ্রাম আর কেউ করেনি। এরশাদ উল্লাহ বলেন, পতিত স্বৈরাচার হাসিনার অবৈধ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে পাঠিয়ে তার জীবন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। শুধু ফরমায়েশি সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়নি, তার প্রাপ্য জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছিল। কারাগারে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শর্ত সাপেক্ষে অবৈধ সরকার তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দি করে রাখে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি।
নাজিমুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে, অধিকার আদায়ে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরন্তরভাবে লড়াই করে চলেছেন। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হানিফ সওদাগর, নুর হোসাইন, এইচ এম রাশেদ খান, বেলায়েত হোসেন বুলু, মনিরুজ্জামান টিটু, এম এ মুছা বাবলু, মামুনুর রশীদ শিপন, শরিফুল ইসলাম তুহিন ও এড. আবদুল আজিজ।