জনগণের কল্যাণ

শিউলী নাথ | বৃহস্পতিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি’!–সেদিন কবিগুরুর বাণীকে জাতির পিতা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে বলেছিলেন, বাঙালি জাতি মানুষ হয়েছে। তাই স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছে। আজ কবির কথা আবারও মিথ্যে প্রমাণ হলো। রবিঠাকুর বলেছেন, ‘মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য’। আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, হে কবি গুরু, মানুষ পণ করে ভাঙার জন্য নয় বরং তাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য। তবে সে যদি সত্যিকারের মানুষ হয়ে থাকে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী। পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, বাঙালি যা পণ করে তা বাস্তবায়নও করে দেখাতে পারে।
আমি রাজনীতি বুঝিনা। তবে এতটুকু বুঝি, রাজনীতি শুধু কথার মারপ্যাঁচ নয় বরং যে সকল নীতি গ্রহণে জনগণের কল্যাণ হয়, তাই তো রাজনীতির মূলকথা। আজ একবিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা এতটুকু বুঝতে পেরেছি, যাদের অস্তিত্বেই রাজনীতি বিরাজ করছে সেই রাজনৈতিকগণ কখনোই মানুষের কাছে খেলো হতে পারেন না। তারা যা বলেন, অভিজ্ঞতার আলোকেই বলেন। যা ভাবেন, দূরদর্শিতার আলোকেই ভাবেন। যা করেন, অনেক ভেবে চিন্তেই করেন এবং যা স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। তবে সঠিক তথ্য ও দিক নির্দেশনা পাওয়ার জন্য ‘উপযুক্ত জনবল’ পাশে থাকাটাও জরুরি। আজ আমাদের স্বপ্নগুলো একটু একটু করে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে গর্ব করে বলতে পারছি, আমরা বাংলাদেশী যারা নিজেদের প্রচেষ্টায় ‘পদ্মাসেতু’ তৈরি করতে পারি। এমন এক রাজার অধীনে আমরা আছি যিনি নির্ভীক চিত্তে সাহস যুগিয়েই যাচ্ছেন। শুধু সমালোচনার খাতিরে সমালোচনা নয়, বরং সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে দেশের কল্যাণে আমরা আমাদের রাজার নীতিগুলোকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এক হয়ে একটি স্বাপ্নিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা নাস্তা খাই যেভাবে
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর প্রতিভা প্রকাশের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে আমাদের