দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে কালো ছায়া দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতাকর্মীদের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, গণতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার, সেখানে আমরা দেখছি একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, জনগণকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। খবর বাংলানিউজ ও বাসসের।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন যে, বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র–চক্রান্ত শুরু হয়েছে। কিছু মানুষ সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপির ওপর এখন গুরু দায়িত্ব উল্লেখ করে মির্জা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে সব সময় গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে। সেই দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব হচ্ছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কাজ করতে শুরু করেছিলেন, এখন যে তরুণ নেতা নতুন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তোলবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন কেউ কখনো কেড়ে নিতে না পারে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যেন কেউ কখনো বিনষ্ট করতে না পারে, গণতন্ত্রকে আর কেউ যেন কখনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার দিয়ে দাবিয়ে রাখতে না পারে সেজন্য বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে সেই অতন্দ্র ভূমিকা পালন করতে হবে। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
গত ১৩ মে চোখের জটিলতা দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একদিন পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েই তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। এখন সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগমও রয়েছেন।