জনগণকে ছাড়া কোনো সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না : খসরু

| বুধবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

জনগণকে বাইরে রেখে কোনো সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যারা সংস্কারের কথা বলছেন সেই সংস্কার নিয়ে যদি চিন্তা করতে হয় জাতীয় ঐকমত্যের ব্যাপার রয়েছে। আর সংস্কারের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, জনগণের সমর্থন থাকতে হবে সংস্কারে, জনমতের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার করতে হবে, জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করতে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব একটা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে। অনির্বাচিত কোনো সরকার নিজের চিন্তাভাবনায়, নিজের ধারণায়, নিজেদের দর্শনে কারো কোনো সংস্কার করার সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ সিদ্ধান্ত দেবে আগামী পার্লামেন্ট সেই সংস্কারগুলো সংসদে পাস করবে; কোনো সমস্যা তো নাই। কিন্তু জনগণেকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে সেই বয়ান জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। খবর বিডিনিউজের।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্মেলন কক্ষে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস সংগঠনের উদ্যোগে ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমান উনি একটা বয়ান করেছেন, মানে বাংলাদেশ কীভাবে চলবে উনার একটা বয়ান ছিল, আবার স্বৈরাচার এরশাদের একটা বয়ান ছিল, আবার ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার আরেকটা বয়ান ছিল। যে উন্নয়ন গণতন্ত্রের ঊর্ধ্বে চলে গেছে। এসব বয়ানে জনগণের সমর্থন ছিল না। যে সমস্ত বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য আছে সেই সমস্ত বিষয় তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সংস্কার করতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আপত্তিও নাই। শুধু সেই ক‘টি সংস্কার, যে সংস্কারের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক অর্ডারে দ্রুত ফিরে যেতে পারি এবং সেটি জাতীয় ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে। বাকি সংস্কার দেশের জনগণের কাছে যেতে হবে ভোটের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব প্রস্তাব নিয়ে।

খসরু বলেন, কোনো নতুন বয়ান শুনতে জনগণ রাজি নয়। একমাত্র বয়ান হচ্ছে যে, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাছে তার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এই বয়ানের বাইরে বিভিন্ন বয়ান দিয়ে বিগত বছরগুলো যারা দেশ শাসন করেছে তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। নতুন বয়ান হচ্ছে, বাংলাদেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে, গণতান্ত্রিক অর্ডারে ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে। বিরোধী রাজনেতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও তুলে ধরেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই মধ্য নভেম্বরেও কেন কমছে না ডেঙ্গু
পরবর্তী নিবন্ধবায়েজিদ থেকে লুট হওয়া ৭২ কার্টন সিগারেট উদ্ধার