জনক তোমার তর্জনীটা উঠাও আরেকবার
অন্ধকার নিদারুণ সোনার বাংলার গগন জুড়ে
বত্রিশ নম্বরের বারান্দায় নির্বাক তাকিয়ে
দিকভ্রান্ত জনতা!
তোমার হাসু লড়ছে একা
বড় ভয় হয় আবার যদি হারাই পথ
তোমার তর্জনী পথ দেখাবে বলে
নিকষ আঁধারেও হারাইনি সাহস
“ভাইয়েরা আমার” বলে গর্জে ওঠো আরেকবার
প্রশান্ত কবরের মায়াবী মৃত্তিকা থেকে উঠে আসুক
অবিনাশী উদ্দীপনা– ষোলো কোটি সন্তানের জন্য!
জনক তোমার তর্জনীটা উঠাও আরেকবার
সন্তরণ ভুলে যাওয়া বত্রিশ কোটি গগণবিদারী হাত
আরেকবার টগবগ করুক রক্তিম উদ্দীপনায়
উঠে আসুক উত্তাল উদ্দাম জলোচ্ছ্বাস থেকে
আবার একবার ট্রিগারে রাখবো হাত
ওরা মুখোশ পরে মিশে গেছে আমাদের আঙিনায়!
যে কথা ছিল একাত্তরে
তা থেকে ক্রমেই সরে গেছি দূরে
তোমার তর্জনীটা বাড়িয়ে দাও
উঠে আসি পরাভব থেকে!
জনক তোমার তর্জনীটা উঠাও আরেকবার
তোমার তর্জনীই যে ওদের করেছিল সংহার
সারি সারি ট্যাংক আর অগণন যুদ্ধবিমান থেকেও
অনেক বেশি উদ্দীপক ওই তর্জনী!
বিবর্ণ বিকেলে চেয়ে দেখি একদিন
পরাজিত রক্তের উত্তরাধিকার বুকে নিয়ে
ওরা কিলবিল করছে আমাদের আঙিনায়
তোমার তর্জনীর স্পর্শে চিৎকার দিয়ে বলতে চাই
বঙ্গবন্ধু লোকান্তরে– আমরা আছি ঘরে ঘরে!