সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে জানিয়ে সতর্ক করেছে সরকার। গতকাল রোববার সংঘাতে মানুষের প্রাণহানির মধ্যে এক সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
এতে বলা হয়, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে। জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের ডাক ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা আসে। অসহযোগে সমর্থন দিয়েছে বিএনপিও। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে রাজনৈতিক কর্মীদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো।
গতকাল ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোও। বিভিন্ন জেলা থেকেই ২ থেকে ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য আসছে। প্রতি মুহূর্তেই সংখ্যাটি বাড়ছে। এর মধ্যে গণভবনে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক বসে। সেখানে সন্ত্রাসীদের দমন করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন যারা রাজপথে নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মহামুদ অপু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।