সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সংঘর্ষের ১০ দিন পর ওই ঘটনায় আহত আরও এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাতে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাঈন উদ্দিন (৩০) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত মাঈন উদ্দিন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার হয়নীবাজার ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী মোহাম্মদ আলমগীর জানান, তার ভাই মাঈন উদ্দিন গত ৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৫ অক্টোবর তারা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ফোনে জানতে পারেন তার ভাই চমেক হাসপাতালে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। এই খবরে দ্রুত চমেক হাসপাতালে গিয়ে ভাইকে পেলেও তার ভাই কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলো না। পরে তারা জানতে পারেন তার ভাই সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে বেড়াতে গিয়ে ৪ অক্টোবর ভোরে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। এদের মধ্যে এক পক্ষ তাকে অপর পক্ষের লোক মনে করে নির্মমভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে চমেকে নিয়ে ভর্তি করালেও সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে সোমবার রাত ১টার দিকে সে মারা যায়। এ ঘটনার পর তিনি খোঁজ খবর নিয়ে ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জঙ্গল সলিমপুরের যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০–৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে সংঘর্ষে আহত মাঈন উদ্দিন নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতের ভাই বাদী হয়ে রোকন উদ্দিনসহ ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। জঙ্গল সলিমপুরের ঘটনায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর জঙ্গল সলিমপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনার দিন খলিলুর রহমান কালু নামে এক যুবক নিহত এবং সোমবার আরো এক যুবকসহ এ ঘটনায় মোট দুই যুবক নিহত হয়েছেন।