ছয় দিনে হাজার মৃত্যু

মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়াল দেশে শনাক্ত আরও ৬৭৮০ জন

| রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ছয় দিনে মৃত্যু ঘটেছে এক হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগীর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৯ হাজার ৪৬। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৭৮০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪। সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ৯ হাজার ৭৮২৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ জন। খবর বিডিনিউজের।
নতুন করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কিছু দিন ধরেই দিনে দুইশর মতো মৃত্যুর খবর আসছে। ঈদের ছুটির মধ্যে নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় রোগী শনাক্ত কমলেও মৃত্যু আগের মতোই রয়েছে। এক দিনে রেকর্ড ২৩১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল ১৯ জুলাই। সেদিনই মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছিল। তারপর ছয় দিনে মৃতের তালিকায় আরও ১ হাজার যোগ হলো। বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটির বেশি রোগী।
দেশে কোরবানির ঈদের ছুটিতে নমুনা পরীক্ষা এক-চতুর্থাংশে নেমে আসায় বৃহস্পতিবার শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল এক মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ঈদের ছুটির আগে যেখানে দিনে ৪০ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা হত তা কমে ২০ হাজারে এসে ঠেকেছিল। এখন নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শুক্রবার ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৩৬৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। গতকাল ২০ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৭৮০টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা ২৯ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি রোগী শনাক্তের হারও কমেছে ২৬ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা ৭ শতাংশ কমেছে। গত এক দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায় ৩ হাজার ৭৯ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩০১ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকা জেলায় ৩৭ জনের।
মৃত ১৯৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের কোঠায়। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৪ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩১ জন মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে ১০৩ জন ছিলেন পুরুষ, ৯২ জন ছিলেন নারী। ১৫৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৫ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন হল স্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পাঁচ দিনে শনাক্ত ২৮৯৫, মৃত্যু ৩৩