চট্টগ্রামে ছয় উপজেলায় (সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া ও লোহাগাড়া) ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। এই ছয় উপজেলায় আজ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে হালনাগাদ কার্যক্রম। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন (ছবি তোলা) কার্যক্রম। আজ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এবার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের তথ্যও নেওয়া হবে। যারা পরে বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন ২০২৪ ও ২০২৫ সালে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসি নিয়োজিত কর্মীরা তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ দিয়ে এবং ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজাদীকে জানান, ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দুইধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের ছয়টি উপজেলায় হালনাগাদ কার্যক্রম শুক্রবার ২০ মে শুরু হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে বাকি ৯টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রামে মোট ১৫ উপজেলা ও মহানগরীর ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ২ হাজার ৯৬৬ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ৬২১ জন সুপারভাইজার প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলায় মোট তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ১৩০জন, সুপারভাইজার ২৬জন। কর্ণফুলী উপজেলায় মোট তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ৫৬জন এবং সুপারভাইজারের সংখ্যা ১২ জন। আনোয়ারা উপজেলায় মোট তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ১১০জন এবং সুপারভাইজারের সংখ্যা ২৭জন। লোহাগাড়া উপজেলায় মোট তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ১০৭জন, সুপারভাইজারের সংখ্যা ১৮জন। সন্দ্বীপে মোট তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ১৪৪জন, সুপারভাইজারের সংখ্যা ২৮জন। পটিয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারীর সংখ্যা ১৬৪জন, সুপারভাইজারের সংখ্যা ৩৩জন।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, মীরসরাই, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি ও বাঁশখালী উপজেলায় হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে জুনে। শেষ হবে আগস্টে। দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪১ ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। মহানগরীতে হালনাগাদ শেষ হবে ১৮ অক্টোবর। ছবিসহ নিবন্ধনের কাজ চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
ভোটার হওয়ার জন্য আগ্রহীদের লাগবে-অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি, পিতা/মাতার আইডি ফটোকপি, স্বামী/স্ত্রীর আইডি ফটোকপি, ভাই/বোনের আইডি ফটোকপি, শিক্ষা সনদের ফটোকপি, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার কপি, হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদের ফটোকপি, জমির দলিল ফটোকপি এবং বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই সময় একসঙ্গে তিন বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।