হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাই কোদাল দিয়ে কুপিয়ে অপর দুই ভাইকে জখম করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড়ুয়াপাড়ার হরেন্দ্র মহাজনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত হরেন্দ্র মহাজনের ছেলে গিন্নি বড়ুয়ার (৬৩) বসতঘর নির্মাণকাজে বাধা দেন তার ভাই তুষার বড়ুয়া। ইতোপূর্বে স্থানীয় গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এ বিষয়ে বিরোধ মীমাংসাও করে দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বড় ভাই গিন্নি বড়ুয়া তার নবনির্মিত শৌচাগারের দেওয়ালের বাইরে আস্তরের কাজ করান। বিকেলের দিকে ছোট ভাই তুষার কোদাল দিয়ে কুপিয়ে সেই আস্তর নষ্ট করে দেন। এ সময় তার ভাই গিন্নি বড়ুয়া নিবৃত্ত করতে গেলে তিনি কোদাল দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন।
এ দুই ভাইয়ের বিবাদ নিষ্পত্তি করতে এগিয়ে আসেন তাদের বড় ভাই মানিক বড়ুয়া (৬৫)। কিন্তু তুষার কোদাল দিয়ে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। স্বজনেরা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠান। আহত মানিক বড়ুয়ার ছেলে রাজেল বড়ুয়া জানান, তার কাকা গিন্নি বড়ুয়া শৌচাগারের দেওয়ালের আস্তরের কাজ শেষ হওয়ার পর তার আরেক কাকা তুষার বড়ুয়া এসে গিন্নি বড়ুয়াকে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এই সময় তার বাবা মানিক বড়ুয়া বিবাদ মীমাংসা জন্য গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে।
তুষার বড়ুয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শৌচাগারের বাইরের দেওয়ালে আস্তর করতে বাধা দেয়ায় গিন্নি বড়ুয়া সহযোগিতা চাইলে তিনি দুই ভাইকে ডেকে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু তুষার তার কথা অমান্য করে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান।












