পূর্ব শত্রুতার জেরে হাটহাজারীতে ছোটবোনের স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে তার সৎ ভাইয়েরা। এমন কি তারা তাকে এলোপাতাড়ি কোপানোর পাশাপাশি তার যৌনাঙ্গও কেটে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালাবাদশা পাড়ায়। ভুক্তভোগী এনায়েতুল গনি সুমন স্থানীয় শফিউল আলম মাস্টারের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান। আহত সুমন বর্তমান চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাংলানিউজ জানায়, ভুক্তভোগী সুমনের ভাই আতাউল গনি লিটন বলেন, আমার ভাই খাগড়াছড়িতে চাকরি করেন। মা অসুস্থ হওয়ায় গত রোববার দেখতে বাড়িতে আসেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যাওয়ার সময় তার স্ত্রীর সৎ ভাই মোহছেন ও কালু তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে সুমনকে হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, আহত সুমন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী মোহছেন ও মোমেন শাহ কালুর সৎ বোনকে। সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে ঝামেলা ছিল তাদের সৎ বোনের সঙ্গে। এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মোহছেন ও কালু। এছাড়া কয়েক বছর আগে মোহসেন ও কালুর এক ভাই খুন হয়। এ নিয়ে তারা সুমনকে সন্দেহ করতেন। ওই মামলায় সুমনকে জেলেও যেতে হয়। গত আট মাস আগে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে খাগড়াছড়িতে থাকেন সুমন। রোববার মাকে দেখতে এলে মোহসেন ও কালুসহ কয়েকজন মিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। হাটহাজারী থানার (ওসি) রুহুল আমিন জানান, সুমন নামে একজনকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। এরমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন আব্দুল সালাম মাস্টার (৪৫), মো. ইকবাল (৩৪) ও শিবলী আকতার (৩২)। এদিকে, চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুমনের হাত–কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ৯ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গেও ক্ষত রয়েছে। আঘাত খুব গুরুতর।