ফটিকছড়ির ভূজপুরে ছেলে মাওলানা ইয়াসিনের দায়ের কোপে আহত ছোট ভাইয়ের পর মারা গেলেন মা জোলেখা খাতুন (৬০)। গত শনিবার নিহত মাসুমের দাফনের পর গতকাল রবিবার বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাদের মা জোলেখা খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজনেরা। জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত ৩ এপ্রিল সকালে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফকিরা বন এলাকার ভোলা গাজীর বাড়িতে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে আপন ছোট ভাই মো. মাসুম ও মা জুলেখাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বড় ভাই মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াসিন। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রেরণ করা হয়। নিহত মাসুম ও অভিযুক্ত ইয়াসিন একই এলাকার আলী আহমেদ এর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ রানা বলেন, পাতার বস্তা রাখা নিয়ে মায়ের সাথে ইয়াসিনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছোট ভাই মাসুম এসে ইয়াসিন কেন তাদের মাকে গালাগালি করলো জানতে চাইলে ইয়াসিন মা জোলেখা খাতুন এবং ছোট ভাই মো. মাসুমকে এলোপাতাড়ি ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের মেডিকেলে নিয়ে যান।
নিহত মাসুম মা–বাবা এবং স্ত্রী–সন্তানের একমাত্র উপার্জনদাতা। মাসুমের মৃত্যুতে পুরো পরিবারটি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতে দিকে। অন্যদিকে প্যারালাইজড আলী আহমেদ স্ত্রী এবং ছেলে হারিয়ে হতভম্ব। তাদের দেখার আর কেউ রইলো না।
এ ব্যাপারে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযুক্ত ইয়াসিন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।