খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মো. মোফাচ্ছেল হকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা কমাড্যান্ট কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মিলন শীল। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে এক আদেশে অভিযুক্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মোফাচ্ছেল হককে দীঘিনালা থেকে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মিলন শীল লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার ছেলে টিপলু শীল আনসার বাহিনীতে যোগদান করে। আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে দীঘিনালা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মো. মোফাচ্ছেল হক ১ম পর্যায়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এরপর হিল আনসার সদস্য বাবুল গাজীর মাধ্যমে আরো টাকার জন্য চাপ দেন এবং অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। অফিসে যাওয়ার পর তিনি আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন। টাকা না দিলে ছেলের চাকরি থাকবে না বলেও হুমকি দেন।’
জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মে আনসার ও ভিডিপির জেলা কমাড্যান্ট কর্মকর্তা মো.আরিফুর রহমান বরাবরে এ লিখিত অভিযোগ করেন মিলন শীল। তিনি বলেন, ‘চাপের মুখে আমি তাকে বাড়ির দলিল জমা দিতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে ঋণ করে আরো ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিই। দুই দফায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা উৎকোচ দেওয়ার পরও তিনি আমার দলিল ফেরত দেননি। এছাড়া একটি আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাকে দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে জন্য চাপ দিচ্ছেন।’
এই বিষয়ে শাহ মো. মোফাচ্ছেল হক বলেন, ‘আমরা বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই আমি এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।’ বদলি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাকে সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়েছে। তবে বদলি জন্য ‘প্রশাসনিক কারণ’ উল্লেখ করা হয়েছে।’ এছাড়া আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাকে দিয়ে মিলন শীলকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আনসার ও ভিডিপির কমাড্যান্ট কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘সুনিদিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মো. মোফাচ্ছেল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে তাকে দীঘিনালা থেকে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়েছে।’