আশিতেও বাধা হতে পারেনি ভোটের আনন্দ। আনোয়ারা ডুমুরিয়ার আইয়ুব আলী বাড়ির রাবেয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। একা হাঁটাচলা করতে পারেন না বলে ছেলে মোহাম্মদ হারুনের কাঁধে ভর করে আসেন ভোটকেন্দ্রে। অসুস্থতা দেখে দীর্ঘ লাইনে থাকা নারী ভোটারেরা তাকে সুযোগ করে দেন। ছেলের হাত ধরে বুথে ঢুকে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল মেরে বেরিয়ে আসেন।
ছেলের কোলে চড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ডুমুরিয়া রূদুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা হয় রাবেয়া বেগমের সাথে। তিনি বলেন, ভোট আমানত। কষ্ট হলেও কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরেছি তাতেই খুশি। সামনে বাঁচি কী মরি জানি না। হতে পারে এটাই জীবনের শেষ ভোট।
রাবেয়া বেগম যখন ভোট দিয়ে বের হচ্ছিলেন তখন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। রাবেয়া বেগম শোর-চিৎকার করে দুই পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।