ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকল, সেটাই খুঁজতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

| সোমবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

দেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতায় এখন ‘উল্টো স্রোত’ বইছে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মেয়েদের পাসের হার বেশি হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ছাত্রীদের পাসের হার যেন বেশি। এটার জন্য ধন্যবাদ। কারণ সবসময় আমাদের শুনতে হয় জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি, এখন তো উল্টোদিকে। প্রতিবারই দেখি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। একসময় তো মেয়েদের পড়াশোনাই করতে দিত না। আরও অনেকে দেশে এখন পড়াশোনা করতে দেয় না। আমাদের দেশের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকল, সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। গতকাল রোববার সকালে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকে এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকালে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। খবর বিডিনিউজের।

এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি জানিয়ে ছেলেদেরও সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘ছেলেদের বলছি, কেউ যেন পিছিয়ে থেকো না, তোমরা পড়াশোনা করো এবং সমানতালে চল, সেটাই আমরা চাই। এটা মনে হয় ৩ পয়েন্ট ৮১ পারসেন্ট (পার্সেন্টেজ পয়েন্ট) বেশি আমাদের মেয়ে পাস করেছে। আবার জিপিএও (জিপিএ ৫) মেয়েরা বেশি পেয়েছে।’

ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে রসিকতা করে সরকারপ্রধান বলেন, আবার আমি মেয়েদের পক্ষে বেশি বললে ছেলেরা মন খারাপ করবে। যা হোক, সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা হয়ত ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি বা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, এখানে হতাশ হবার কিছু নেই। অভিভাবক বা শিক্ষক তাদেরকে আমি বলব, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদেরকে সহানুভূতি দেখাতে হবে। তারা যে পারে নাই, যেজন্য তাদের গালমন্দ করা না, যে পারে নাই তারও তো মনে কষ্ট আছে। আমি অনুরোধ করব, কেউ উত্তীর্ণ না হলে তাকে আরও সহানুভূতি দেখান। তাকে উৎসাহিত করেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি উপাচার্য ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির ২৬ অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬