পাঁচলাইশ থানাধীন জাতিসংঘ পার্কের পাশে ছুড়ে ফেলা নবজাতকটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নবজাতক (৩২ নং) ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটিকে এনআইসিইউতে (নিওনেটাল আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডের চিকিৎসক-নার্সের তত্ত্বাবধানে রয়েছে পরিচয়হীন শিশুটি। প্রি-ম্যাচিউরড হওয়ায় শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার থেকে জাতিসংঘ পার্কের পাশে নবজাতকটি ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। সেখানে আড্ডারত কয়েকজন যুবক পুটলিতে বাঁধা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ওই শিশুকে চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
নবজাতক বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ শাহীন আজাদীকে বলেন, শিশুটি প্রি-ম্যাচিউরড (নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেয়া)। ওজনও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। তাছাড়া শিশুটির ব্রেইনের একটি অংশ কপালের ফুটো দিয়ে বের হয়ে গেছে। যেটিকে দেখতে অনেকটা টিউমারের মতো মনে হয়। কিন্তু এটি আসলে টিউমার নয়। ব্রেইনের একটি অংশ। এটি শিশুর জন্মগত একটি জটিলতা (রোগ)।
গত রোববার শিশুটির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে জানিয়ে ডা. মোহাম্মদ শাহীন বলেন, শিশুটিকে নিউরোসার্জন দেখানো হয়েছে। তাদের পরামর্শে শিশুটির সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে। রিপোর্ট ভালো আসেনি। নিউরোসার্জনরা এ ধরনের শিশুর অস্ত্রোপচার করার পক্ষপাতি নন। কারণ তেমন কোনো ফল পাওয়া যাবে না। এ ধরনের জন্মগত ক্রটি নিয়ে জন্মানো শিশুকে বাঁচানো খুব কঠিন। এরপরও ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সরা নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া এ শিশুটির বিষয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।