নগরীর পাঁচলাইশে যুবলীগের মিছিল শুরুর আগে ব্যানার ধরা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ষোলশহর কসমোপলিটন আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
এদিকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে বশর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গতকাল রাতে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পাঁচলাইশ মডেল থানার টিম ষোলশহরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বশর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আদিত্যকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে স্বীকার করেছে।
আহত আদিত্য নন্দীকে প্রথমে নগরীর জিইসি মোড়ে বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে নগরীর কোতোয়ালী থানার টিঅ্যান্ডটি সড়কে এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিকালে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কারা ছুরিকাঘাত করেছে তাদের আহত আদিত্য চিনতে পারেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আহত আদিত্য নন্দীকে দেখতে যান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা গেছে, নগরীর ষোলশহরে একটি কনভেনশন সেন্টারে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর সমর্থনে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর যুবলীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রচারণা মিছিল বের হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, বদিউল আলমসহ কয়েকশ নেতাকর্মী ছিলেন। মিছিলে ব্যানার ধরা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় আদিত্য নন্দীর পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, আজকে ষোলশহর এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে আমাদের প্রতিনিধি সভা ছিল। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রচার মিছিল হয়েছে। মিছিলে অনেক লোক ছিল। সেখানে নালার পাশে সে (আদিত্য) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে।