নগরীর হালিশহর এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান লিটন (৫০)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর হালিশহর এ-ব্লকের আর্টিলারি সেন্টার মাঠের পাশে খালপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিজানুর রহমান লিটন হালিশহর থানার রহমানবাগ আবাসিক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এম এ লতিফের ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন করে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নিহতের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সারদল গ্রামে। হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, এম এ লতিফের সাত ছেলের মধ্যে মিজানুর রহমান লিটন সবার বড়। তিনি আগে আগ্রাবাদ এঙেস রোডে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করলেও সর্বশেষ জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করতেন। হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকে পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। বুধবার রাত ১টার দিকে আমরা এ-ব্লকের খালপাড়ে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পাই। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করছি, রাতেই খুন করে লাশ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সেটি এখনও চিহ্নিত করতে পারিনি। সম্ভবত ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েও এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ দুই দিক বিবেচনা করে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
লাশ উদ্ধারে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা জানান, নিহতের শরীরে ৬টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে বাম পাঁজরের নিচে গভীর ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দুই হাতের বাহুতেও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন টিম উপস্থিত হয়ে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে লাশটির সুরতহাল তৈরি করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে।
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সিনহা আজাদীকে বলেন, নিহত মিজানুর রহমান হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রহমানবাগ এলাকায় তার অন্য ভাইয়েরা থাকেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে ভাইয়ের বাসা থেকে তিনি নিজের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। পথে তাকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। তার বুক ও হাতে বেশ কিছু জখম আছে। মিজানুরের সঙ্গে বাজারের ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও কয়েকশ’ টাকা ছিল। সেগুলোর কিছুই খোয়া যায়নি বলে জানান পরিদর্শক সঞ্জয়।