নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের ৩০তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা–দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় আগত ক্রেতারা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের পণ্যটি কিনে বাড়ির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। এদিকে মেলায় ভিড় থাকায় বিক্রেতাদের মুখেও ছিলো সন্তুষ্টির ছাপ ও হাসি। বিক্রেতারা জানান, মেলার প্রথম দিকে ক্রেতা
উপস্থিতি একটু কম থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে ভিড় বাড়ছে। গত বছর মেলা বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় বেচাবিক্রি খুব একটা হয়নি। তবে এবার বিক্রি বেড়েছে।
গতকাল বিকেলে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, পরিবার ও বন্ধু–বান্ধব নিয়ে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন দর্শনার্থীরা। এদেরই একজন হামজারবাগের বাসিন্দা সুলতানা আকতার। তিনি বলেন, মেলায় সাশ্রয়ী দামে ক্রোকারিজ আইটেম পাওয়া যায়। আমি প্রতি বছর মেলায় এসে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনে নিই।
এছাড়া মেলার প্লাস্টিক পণ্যও খুব টেকসই।
মেলায় ঘুরতে আসা নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা ফৌজিয়া ইসলাম জানান, বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরে এসেছি। প্রতি বছরই আসা হয়। সপ্তাহের অন্যান্য দিন ব্যস্ত থাকি; তাই শুক্রবার ছুটির দিনই ভরসা। তবে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, এবারের মেলায় প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইসকুকার, প্রেসার কুকার, ফ্যানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। এদিকে বিদেশি প্যাভিলিয়নেও উল্লেখযোগ্য ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে থাই প্যাভিলিয়নে
ভিড় সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কার্পেট, কসমেটিক্স, চাদর, থ্রি–পিস ও জুয়েলারির স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখের পড়ার মতো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি আলাদা জোন নিয়ে ৪০০টি স্টলে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ইরানেরও স্টল রয়েছে। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। বিভিন্ন স্কুলের প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে।