ছুটির দিনে ন-কাটাছড়া ঝর্ণায় পর্যটকের ভিড়

কাপ্তাই প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন ন-কাটাছড়া। এটি ভ্রমণ করতে ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় করছেন। পাথরের খাড়া পাহাড়ের প্রায় ৫শ ফুট উপর থেকে ন-কাটাছড়ায় ঝর্ণার পানি ঝুপঝুপ করে নিচে পড়ছে। ঝর্ণার পানিতে ভিজতেই পর্যটকদের এত ভিড়। নারী পুরুষ শিশু কিশোর এমনকি অনেক বৃদ্ধকেও দেখা গেছে ন-কাটাছড়ায় ভিজতে।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং সিলেট থেকে দুই শতাধিক পর্যটক ন-কাটাছড়া ঝর্ণা পরিদর্শনে এসেছেন। ঢাকার রামপুরা থেকে আগত মিনহাজুল আবেদীন জানান, তিনি পরিবার এবং বন্ধুসহ ৪০ জন সদস্য নিয়ে ন-কাটাছড়া ঝর্ণা দেখতে এসেছেন। এটি অত্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। আঁকাবাঁকা ছড়া ও বিপজ্জনক রাস্তা ডিঙ্গিয়ে তবেই পৌঁছতে হয় ন-কাটাছড়া ঝর্ণায়। তবে যাতায়াতে কষ্ট হলেও ঝর্ণা পরিদর্শন করে এবং দীর্ঘ সময় ঝর্ণার পানিতে ভিজতে পেরে আগত সব পর্যটক বেজায় খুশি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার ২ নং কেংরাছড়ি ইউনিয়নের অত্যন্ত দুর্গম ৯ নং ওয়ার্ডে এই ন-কাটাছড়া ঝর্ণা অবস্থিত। প্রায় প্রতিদিন ঝর্ণা দেখতে পর্যটকরা আসছেন। ন-কাটাছড়া ঝর্ণা ছাড়াও আরো দুটি ঝর্ণা বিলাইছড়ি উপজেলায় রয়েছে। সেগুলো আরো দুর্গম স্থানে অবস্থিত। অনেকে বিলাইছড়ি ভ্রমণে এসে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত নীলাদ্রি রোসোর্টে অবস্থান করেন। পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে সকলের জন্য নীলাদ্রিতে অবস্থানের সুযোগ রয়েছে।
বরিশাল থেকে আগত আশরাফুন্নেসা নামক একজন স্কুল শিক্ষিকা জানান, তারা ২৫ জন শুক্রবার সকাল ৮টার সময় কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা রিজার্ভ নিয়ে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। সকাল ১০টার সময় তারা পৌঁছেন বাঙ্গালকাটা ঘাট নামক স্থানে। সেখান থেকে ২০ মিনিট হেটে পৌঁছেন বিলাইছড়ি ডেবারমাথায়। এখানে ন-কাটাছড়া ভিসিএফ এর আওতায় কমিউনিটি বেইজড ইকো ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত ভিসিএফ ও যুব ভলান্টারি দলের অনুমতি সাপেক্ষে ৬শ টাকায় গাইড নিয়ে ন-কাটাছড়া ঝর্ণার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হয়।
বিলাইছড়ি উপজেলার ২ নং কেংরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল মারমা এবং ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন চাকমা বলেন, ন-কাটাছড়া ঝর্ণা পরিদর্শন করতে প্রতিদিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও সরকারি উচ্চ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা এবং দূর-দুরান্ত থেকে অনেক জনপ্রতিনিধিও ঝর্ণার পানিতে ভিজতে নিয়মিত আসছেন। ঐ জায়গাটি যাতায়াতে বর্তমানে অনেক সমস্যা। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হলে আরো বেশি সংখ্যক পর্যটক ন-কাটাছড়া ঝর্ণা পরিদর্শন করতে বিলাইছড়ি আসবেন বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাটারি রিকশায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় একজন নিহত
পরবর্তী নিবন্ধকখনো মাঝারি, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি