গেল বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মার্কিন সংগীত শিল্পী টেইলর সুইফটের গানের রেকর্ড। এরপরই আছে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পীদের অবস্থান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই ব্যান্ড ‘সেভেনটিন’ ও ‘স্ট্রে কিডস’।
এছাড়া সাত নম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘টুমরো এক্স টুগেদার’ এবং কিশোরীদের পপ দল ‘নিউজিন্স’ আছে আট নম্বরে। বিক্রিবাটার এই তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে চারটি অবস্থান গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পীদের দখলে। এছাড়া, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন র্যাপার ও সঙ্গীতলেখক ড্রেক এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন গায়ক ও সঙ্গীতলেখক দ্য উইকেন্ড। এই দুজনই কানাডার। বিবিসি বলছে, ইউকে টপচার্টের এই চিত্রই বলে দেয় গানের দুনিয়ায় পশ্চিমা শিল্পীদের জায়গা কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। এই পরিসংখ্যান করেছে রিপ্রেজেন্টিং দ্য রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি ওয়ার্ল্ডওয়াইট–আইএফপিআই নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আইএফপিআই বলছে, কোনো ব্যান্ডই ‘ইউকে টপ–৪০’ এর রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক সাইয়ের গ্যাংনাম স্টাইল বিশ্বজুড়ে সংগীতাঙ্গনের দারুণ সাড়া তৈরির পর শেষ এক যুগে কে–পপের দাপট বাড়ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেই কে–পপের বাজার বড় হচ্ছে। তবে কে–পপের আলো ছড়ানো শুরু হয় সাত সদস্যের জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের হাত ধরে। বিশ্বের শীর্ষ কে–পপ ব্যান্ডে নিজেদের পরিণত করেছে তারা, জন্ম দিয়েছে ‘স্প্রিং ডে’, ‘ডায়নামাইট’, ‘বাটার’ এর মতো গান।