ভারতের কেরালা রাজ্যের ১১ জন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কোনওভাবে পৌরসভার কাজ করে চলত যাদের সংসার। হাতে থাকত না ২৫ রূপিও। কিন্তু খুলে গেল কপাল। একসঙ্গে লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন তারা। জিতলেন ১০ কোটি রুপি। কেরালার পরপ্পানংগাদি পৌরসভার হরিৎ কর্ম প্রকল্পে নিয়োজিত ১১ নারী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অজৈব বর্জ্য সংগ্রহ করাই যাদের কাজ। দিনে তাদের আয় ২৫০ রুপি। তারা বলছিলেন, এই আয়ে সংসার চলে না। সন্তানের পড়ালেখা ও সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হয়। তাই ভাগ্য পরীক্ষা করতে ১১ নারী মিলে ঠিক করেন লটারির টিকিট কিনবেন। একজনের পক্ষে টিকিট কেনা কঠিন ছিল। তাই তারা কষ্ট করে অর্থ জমান। খবর বিডিনিউজের।
এরপর ২৫০ রূপি জমিয়ে গত জুনেই তা দিয়ে রাজ্য সরকারের ২০২৩ মনসুন বাম্পার লটারি থেকে টিকিট কেনেন ১১ নারী। ৯ নারী দিয়েছিলেন ২৫ টাকা করে। আর দুই নারী দিয়েছিলেন সাড়ে ১২ রূপি করে। কুত্তিমালু নামের এক নারী বিবিসি–কে বলেন, শুরুতে টিকিট কিনতে অর্থ সংগ্রহের সময় তার মন খারাপ হয়েছিল। কারণ, তার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। পরে দলের আরেকজন নারী চেরুমানলি তাকে বলেন যে, তার কাছে ২৫ রুপি আছে।
তিনি টিকিটের জন্য কুত্তিমালুকে অর্ধেক রূপি দিতে রাজি হন। সুতরাং, দুই নারী ভাগাভাগি করে সাড়ে ১২ রুপি দেন। সিদ্ধান্তই যে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে, সেকথা তারা জানতেন না। গত সপ্তাহে লটারির ড্র হয়। আর তাতেই হয় বাজিমাত। এর আগেও এই নারীরা লটারি কেটেছিলেন। তখন তারা ছোটখাটো পুরস্কার জেতেন। এবার এত বড় পুরষ্কার জিতবেন তা কল্পনাতেও ছিল না।
একজন নারী বলেন, যখন জানতে পারলেন যে, অন্য একজন কোটি রূপি পুরস্কার জিতেছেন, তখন হতাশ হয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন যে তারাই জ্যাকপট জিতেছেন। কেরালার টিকিট বিভাগ ১১ নারীকে ১০ কোটি রূপির লটারির বিজয়ী ঘোষণা করেছে।