তাদের কাছে জেলে যাওয়া কোনো ব্যাপারই না যেন! তাই জেল থেকে জামিনে ফিরে পুনরায় জড়িয়ে পড়ে অপরাধে। এ যেন মামা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া; আবার ফিরে আসা। সাধারণ মানুষের কাছে থাকা মোবাইল-টাকা এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ। সারাদিন ছিনতাই করে যা পায়, রাতে তা ভাগাভাগি করে নিয়ে অধিকাংশ টাকাই মাদকের পেছনে খরচ করে। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও তারা পাঁচজনের একটি টিম কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের গ্রামীণ মাঠের গণশৌচাগারের পাশে অন্ধকারাচ্ছন্ন খালি জায়গায় একসাথে মিলিত হয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেখানেই তাদের পরিকল্পনা হচ্ছিল কোন জায়গায় তাদের ‘ছিনিয়ে নেওয়ার’ কার্যক্রম চালাবে। তবে তাদের পরিকল্পনা ঠিক করতে পারলেও তা বাস্তবায়ন করা আর সম্ভব হয়নি। ‘পরিকল্পনার মাঠ’ থেকেই কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয় তাদের। এসময় তাদের কাছে থাকা ৫টি টিপ ছোরা উদ্ধার করেন পুলিশের সদস্যরা। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলো ফারুকুল ইসলাম নয়ন (২৫), ইসতিয়াক রিমন ওরফে ইমন (১৯), মো. মুন্না (২৯), মো. সুমন (২৫) ও মো. সাকিল (১৯)। অভিযান পরিচালনাকারী কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদি হাসান আজাদীকে বলেন, বুধবার রাতে ছিনতাই করার জন্য টাইগার পাস থেকে পলোগ্রাউন্ড এলাকা ঠিক করে তারা। সেজন্য তারা রেলওয়ে স্টেশনের গ্রামীণ মাঠে পরিকল্পনা করছিল। পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হাতেনাতে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দেহ তল্লাশি করে ৫টি টিপ ছোরা পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।