সাতকানিয়ায় সড়ক থেকে ছিটকে গিয়ে ব্রিজের সাথে ঝুলছিল যাত্রীবাহী বাস। এ সময় বাসের ১৪ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ছিটকে পড়া বাসটি উদ্ধার করতে গিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দীর্ঘ এক ঘণ্টার অধিক সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কঙবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের নয়াখাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর বারোটার দিকে হানিফ পরিবহনের কক্সবাজারমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের নয়াখাল এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসটি সড়ক থেকে ছিটকে গিয়ে ব্রিজের সাথে ঝুলছিল। এ ঘটনায় বাসের ১৪ যাত্রী আহত হয়। আহতরা হলেন আল আমিন (২১), হালিমা বেগম (১৬), শারমিন আকতার (২৫), একরাম হোসেন (৩২), মো. নাসির উদ্দিন (২৭), মো. আবদুল্লাহ (১২), সরওয়ার কামাল (৩৫), আবুল হাশেম (৪৫), জেসমিন আকতার (৩৫), মো. জায়েদ (৫), ফরিদা আকতার(১৭), মাহমুদা খাতুন (৬০) ও হাসান নুর (১৮)। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ব্রিজের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা যাত্রীবাহী বাসটি উদ্ধার করার সময় এক ঘণ্টার অধিক সময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি যাত্রীবাহী বাস সড়ক থেকে ছিটকে গিয়ে ব্রিজের সাথে ঝুলছিল। আর বাস ভর্তি যাত্রী হাউ মাউ করে চিৎকার করছিল। বাসটি ব্রিজের সাথে এমনভাবে ঝুলছিল যে কোনো সময় ব্রিজের নিচে পড়ে যেতে পারে। ফলে অনেক কৌশলে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে বাসটি উদ্ধারের সময় সড়কে প্রায় এক ঘণ্টার মতো যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বাসটি উদ্ধারের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি আরো জানান, যাত্রীবাহী বাসটি অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে গিয়ে ব্রিজের সাথে ঝুলছিল।