চিহ্নের ভেতর চিহ্ন– কে বলবে কোনটা সত্য?
বাক্য নিজেই তো ভুলে যায় তার জন্মের কথা।
আমি যাকে বাস্তব ভাবি, সে কি কেবল ভাষার খেলা?
প্রতিচ্ছবির চোখে পড়ে–আমি একজন অনুমান।
আয়নায় নেই আমি, কেবল ফ্রেম আর স্তর,
নরকের মানচিত্র আঁকা একটি ভাঙা ক্যালেন্ডার।
নানা পাঠ, নানা মানে–সবই নির্ভরপ্রবণ,
অর্থ নয় একক, নয় কোনো সীমানার ধ্বনি।
আমি যখন বলি ‘ভালোবাসা’, তুমি শোন ‘শূন্যতা’
ভাষার পরতে পরতে জমে থাকে অবিশ্বাস।
বিকেন্দ্রীকরণের কণ্ঠে মুখোশ পড়ে ভাবনা,
আর পাঠকই তো কবি–লেখা তারই কল্পনা।
তাহলে কে লিখে? কে পড়ে? কে জানে এই লিপি?
উত্তর আধুনিক বালুকায়, সব চিহ্নই ক্ষণিক।
চূড়ান্ত সত্য নেই কোথাও– কেবল খেলা, কেবল প্রবাহ,
আমরা সবাই পাঠ্য, এক একটি খোলা গ্রন্থ।