ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে

চট্টগ্রামে কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জুলুমের অবসান করে ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখতে সর্বদা প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদকসন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেকটি জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

গতকাল বুধবার সকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মহানগর সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ইলিয়াছ শাহরিয়ার পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিবিরের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুমবাধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে। দেশের যেকোনো সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিবে।

রাজিবুর রহমান বলেন, সফট স্কিল ও হার্ড স্কিলের সমন্বয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলে আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে অন্যায় ও জুলুম দূর করতে এবং দেশকে একটি সুখীসমৃদ্ধ আবাসভূমিতে রূপান্তরিত করতে ছাত্রশিবির নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

মহানগর জামায়াত আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার ও তার ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এ দেশ থেকে ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তারাই আজ বিতাড়িত। ছাত্রশিবির সত্যকে বুকে ধারণ করে সাহসের সাথে পথ চলে বলেই শত জুলুমের পরও আরও শক্তিশালী হয়ে ময়দানে ভূমিকা পালন করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই জমিনে ছাত্রশিবির থাকতে কোনো জালেম আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, এই চট্টগ্রাম শহীদের ভূমি। এই জনপদ দিয়ে এদেশে ইসলাম প্রবেশ করেছে; এই জনপদ থেকেই ইসলামের বিজয় সূচিত হবে।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের অর্থ সম্পাদক দিদারুল আলম, অফিস সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম।

উত্তরের সাথী সমাবেশ : এর আগে সকালে বহাদ্দারহাটের একটি কনভেনশন হলে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতেও প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এসময় তিনি ছাত্র জনতা যেভাবে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে ঠিক সেভাবে জুলুমতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইনসাফ কায়েম করার জন্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েলের পরিচালনায় সাথী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, প্লানিং এন্ড ডেভেলাপমেন্ট সম্পাদক ডা. উসামা রাইয়ান ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের অর্থ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইএফআইসি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে বন্যা দুর্গতদের জন্য ‘এক টাকায় বাজার’