কর্ণফুলীতে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (২৬) নামে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এক যুবলীগ নেতা। কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বাদশা ও তার ভাই শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় ও আহতের পরিবার দাবি করেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় কর্ণফুলী উপজেলার মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে কোপানোর পর স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত সাহাবুদ্দিন কর্ণফুলী উপজেলার খোঁয়াজনগর এলাকার বাসিন্দা পেয়ার আহমদ মেম্বারের পুত্র। যুবলীগ নেতা বাদশা ও মোহাম্মদ শাহজাহান চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিসের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হামলা। সাহাবুদ্দিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদের ভাতিজা। সে সূত্রে সাহাবুদ্দিন চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৭ ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগকে সংগঠিত করে। এরই জেরে কোনঠাসা হয়ে পড়া যুবলীগ নেতা বাদশাসহ তার লোকজনের সাথে বিরোধ তৈরি হয়। বিরোধের জেরে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দিনের চাচা ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ জানান, তার ভাতিজা ছাত্রলীগের পাশাপাশি শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগ নেতা বাদশা ও মোহাম্মদ শাহজাহান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রমিকলীগ। ওই অনুষ্ঠানে শ্রমিকলীগ নেকাকর্মীদের জমায়েত করে কমিউনিটি সেণ্টারে প্রেরণ করে সাহাবুদ্দিন। পরে সে আসার পথে একা পেয়ে যুবলীগ নেতারা তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য অভিযুক্ত মোহাম্মদ বাদশা ও তার ভাই শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কর্ণফুলী থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে। তবে এখনো (রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।